হারামে খাইয়ে জাতি কে কর্ম বিমুখ করার চক্রান্ত বন্ধ হোক
করোনা এক ভয়ানক পরিস্থিতি সন্দেহ নেই এবং সারা পৃথিবী আক্রান্ত, মানুষ অসহায় । কিন্তু বিপদ মরণে নয়, বিপদ জীবনে । মরতে তো একদিন হবে ই , সে রোগেই মরো ,আর ভোগেই মরো । কিন্তু বিপদ হলো রাজনৈতিক নেতারা নিজেদের বাজার ভালো রাখার জন্য হারামে খাওয়ানোর আয়োজন করছে আর লোভাতুর ক্ষুদার্থ মানুষ গুলো আল্লাহদে আটখানা , ফ্রি খাওয়া পেলে কে আর কাজ করে ।
এ এক ভয়ানক ভবিষতের ইঙ্গিত , একবার বসে খাওয়ার আদত হয়ে গেলে, কোনো জাতি আর উঠে দাঁড়ায় না । খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চয় থাকার দরকার , অসুস্থ ,বৃদ্ধ বা নিদারুন সংকটে পড়া মানুষ নিশ্চয় খাদ্য সহায়তা পাক , কিন্তু কাজের বদলে অর্জন করলে সম্মান ও শরীরের জন্য দুই দিক থেকে ভালো হতো ।
জাতি গত ভাবে পাঞ্জাবি শিখদের দেখবেন , ভিক্ষা করা তাদের স্বভাবে নেই । তাই তারা এতো কঠোর পরিশ্রমী । অথচ তাদের লঙ্গরে হাজার হাজার লোক খেতে যায় । কোনো বাছ বিচার নেই , সেবা ই লক্ষ্য । আর আমরা দুধ বেচে মদ খাই। স্কুল থেকে মদের দোকানের সংখ্যা অনেক বেশি জাতীয় অনুপ্রেরণায় , জিডিপি বাড়ছে আর দেশ চলছে টলমলে পায়ে। ফ্রী পেলে আমরা বিষ ও দু বার খাই ।
এক দিদি এলেন, বিদগ্ধ কিছু তাত্বিক নেতাদের হটিয়ে , অনুপ্রেনার এমন বন্যা উন্নয়ন দেখলো, যে বাংলা চারশো বছর এগিয়ে গেলো । টাইম মেশিনে চড়ে দেখতে হবে , সাদা চোখে নীল আর সাদা দেখবেন ।
আজ যে দেশে দু দেয়ালের পুরুষদের মুত্রালয় করতেও মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণা লাগে , তবে কাটমানি আর দুর্নীতি কি বিনা অনুপ্রেরণায় চলে ?
২ টাকা কিলোর চাল চাইনা, চাই অক্সফোর্ড কেম্ব্রিজ বা হার্ভার্ডের থেকেও ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । টুকরে টুকরে নয়, সোনার টুকরো ছেলে মেয়ে বেরোবে , তাদের কেউ হবে রামানুজ কি রামন , রবীন্দ্রনাথ বা মুন্সী প্রেমচাঁদ । জ্ঞান বিজ্ঞানে হবে সেরা , সৃষ্টি করবে অমর সাহিত্য সস্তার রগ রগে বটতলার সাহিত্য নয় ।
আসবে আবার পঙ্কজ মল্লিক , হেমন্ত ,মান্না ,সলিল শ্যামলরা । সন্ধ্যা, আরতি, গীতা বা লতা সুরের জাদুতে মাতাবে মন । ভীমসেন বা বিসমিল্লাহ কি রবিশঙ্কর, আবার বাজাবেন নতুন প্রজন্মের উদয় শঙ্করের নটরাজের সাথে ।
উৎপল বা শম্ভূ কিংবা শিশির , অজিতেশ টক্কর দেবেন, নতুন সৌমিত্র বা রুদ্র প্রসাদের সাথে ।
মোদিজী দয়া করে ভারতের অর্থ ব্যবস্থা থেকে হারামে খাওয়া ও বিনা পরিশ্রমে পাইয়ে দেয়ার স্কিম সব বন্ধ করুন ।
সেনা বা আধা সেনার সাথে ২ বছর কাজ না করলে কোনো ডিগ্রী বা সরকারি বা বেসরকারি কোনো কাজ পাবে না । আধার কার্ড নয় দেশ ভক্তির মানদন্ডে বিবেচিত হোক যোগ্যতা । এমন কি রাজ্নৈতিক কর্মী হতে গেলে ৫ বছর আর্মি বা সমতুল দেশ সেবার অভিজ্ঞতা জরুরি অথবা আন্তর্জাতিক পর্যায় কোনো প্রফেশনাল কাজের অভিজ্ঞতা আবশ্যিক হয় উচিত । ন্যাতা দের নেতা হবার কোনো রাস্তায় যেন না থাকে । যে অঞ্চলের মানুষ অযোগ্য কে নির্বাচিত করবে তাদের পাঁচ বছরের জন্য সকল সরকারি সুবিধা বন্ধ । আর যে বিধায়ক বা সংসদ ভালো কাজ করবে ,সেই অঞ্চলের মানুষ পাবে এক্সট্রা পয়েন্ট সরকারি স্কিম গুলিতে ।
এই ভাবে নির্বাচনে যোগ্য লোক আনার ইন্সেন্টিভ থাকলে মানুষ বিনা অনুপ্রেণায় নির্বাচন করবে । অবশ্যই ভোট দিতে হলে গ্রাজুয়েট ও ২ বছর আর্মিতে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বাপ্ মায়ের আনন্দে জন্মালেই ভোট দেয়ার অধিকার বন্ধ হোক । অযোগ্যের ভোট দানের অধিকার খর্ব হোক । কোয়ান্টিটি নয় কোয়ালিটি ভোটের গণতন্ত্র প্রয়োজন । এবং প্রতি পাঁচ বছর অন্তর ভোটার থাকার যোগ্যতাও প্রমান করা প্রয়োজন।
না হলে জঞ্জালের ঠ্যালায় গণতন্ত্র শুওরের শোকেসে পরিণত হবে ক্রমশ ।
ক্রিমিনাল কেস থাকলে যদি টিকেট পায় তবে সেই রাজনৈতিক দল ৫ বছর কোনো নির্বাচন এ যোগ দিতে পারবে না ।
ডাক্তার বা স্বাস্থ্য কর্মী নির্যাতনকারী যাবজ্জীবন কারাবাসি হবে।
সরকারি সম্পত্তি ধংস করি ও লুঠকারীর ফাঁসি হোক প্রকাশ্যে ।
ভালো শিক্ষকদের মাইনে হোক সর্বোচ্চ আমলাদের থেকে বেশি । কিন্তু অযোগ্য শিক্ষক কে নিয়োগকারীদের ফাঁসি দেয়া হোক।দেশ নতুন করে গড়া হোক , ফাঁকা স্লোগান নয় , লাইন আর মিছিল ভরানো জনতা নয় চাই কোয়ালিটি পিপল ।
জন্মালেই অধিকার জন্মায় না , যোগ্যতার মাধ্যমে অধিকার অর্জন করা দরকার । সংরক্ষণ নয় জাতের ভিত্তিতে দরকার মেধার ভিত্তিতে সংরক্ষণ ।
দল বাড়ানো শুওরের বাচ্ছা নয় বরং প্রয়োজন নেতার মতো নেতা পাক্কা বাঘের বাচ্ছা যেমন ছিলেন ,আছেন , থাকবেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস ।
তাই হারামে খাওয়ার না খাইয়ে , তৈরী হোক নতুন স্কুল , হাসপাতাল, ফ্যাক্টরি আর কাজ করে দেশ খাদ্য সুরক্ষা নিজেই নিজের জন্য নিশ্চিত করুক । না হলে ২টাকা কিলোর মলত্যাগ চলতেই থাকবে আর দেশ ও শৌচালয়ের বেশী এগোবে না । স্যার, আমার মনে হয়- একদিনের বা একমাসের আহার না দিয়ে এমন দান করা উচিত যা ব্যক্তির জীবন ও জীবিকা গড়ে দেবে।
ব্যক্তি যেন বাকি জীবন স্বাভিমানের সঙ্গে বাঁচতে পারে।
তবেই হবে জয় হিন্দ না হলে যায় হিন্দ।