ইছামতি নদীর পাড়ে উঠে এল পরিবেশ – ঐতিহ্যের কথা। বিতরণ করা হল শীত বস্ত্রও
নীলাদ্রি শেখর মুখার্জী,কুমারগঞ্জ
ইছামতি নদী। ভারত – বাংলাদেশের একটি অভিন্ন নদী। দক্ষিণ দিনাজপুরের এনাতুল্লাপুর ,সর্দারহাটে সেই নদীর পারেই এক মহৎ সমাবেশের আয়োজন করেছিল হিন্দুস্থান সেবা নিকেতন কোভিদ বিধি মেনে। আসন্ন শীত উপলক্ষ্যে ছিল গ্রামের গরীব – দুস্থদের কম্বল বিতরণ। ছিল চার দলীয় ফুটবল খেলা।ছিল ট্রফি প্রদান। তার সঙ্গে ছিল আলোচনা।বিষয় ছিল : পরিবেশ ও ঐতিহ্য। হিন্দুস্থান সেবা নিকেতনের এই বৃহৎ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন কুমারগঞ্জ বিধানসভার বিধায়ক জনাব তোরাফ হোসেন মন্ডল, বিশিষ্ট কবি এমাজুল হক চৌধুরী, দক্ষিণ দিনাজপুর হেরিটেজ সোসাইটির সভাপতি তুহিন শুভ্র মন্ডল, সম্পাদক দীপক মন্ডল, কোষাধ্যক্ষ ঝন্টু হালদার, জাকিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামলাল হাঁসদা , জাকিরপুর পঞ্চায়েতের এক্সিকিউটিভ অফিসার দিলীপ মজুমদার সহ অন্যান্য অতিথিগণ।
বক্তাদের বক্তব্যে উঠে আসে ইছামতি নদীর সংস্কার কীটনাশক দূষণ, জমিতে নাড়া পোড়ানোর ক্ষতি, কুমারগঞ্জ ব্লকে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন ঐতিহ্য সংরক্ষণ সচেতনতার কথা। উঠে আসে এই সময় কম্বল বিলির গুরুত্বের কথাও। প্রত্যেক বক্তা এক বাক্যে স্বীকার করে নেন প্রান্তীয় সীমান্ত গ্রামে এমন একটি জরুরী ও বৃহৎ সভা আয়োজনে হিন্দুস্থান সেবা নিকেতনের কৃতিত্বের কথা।
উল্লেখ্য, এই সমস্ত কর্মকান্ডের মুখ্য উদ্যোক্তা তথা হিন্দুস্থান সেবা নিকেতনের কর্ণধার জুলিয়াস হাসান চৌধুরী বলেন “পরিবেশ ও ঐতিহ্য রক্ষা আমাদের কর্তব্য। আর মানুষের জন্য সামান্য কাজ করতে পেরে খুব ভাল লাগছে। বেশ কয়েক বছর ধরেই এই কাজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্য এই কাজ আমাদের করে যেতে হবে।”