‘জনজাতি গৌরব দিবস’ সপ্তাহ উদযাপনের মধ্যে দিয়ে উপজাতি জনজীবনের কারুশিল্প, রন্ধনশৈলী এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’কে তুলে ধরা হয়েছ
By PIB Kolkata
উপজাতি সম্প্রদায়ের জনজীবনকে সংস্কৃতির নানা আলোকে তুলে ধরতে দেশজুড়ে ‘জনজাতি গৌরব দিবস’ সপ্তাহ উদযাপন করা হচ্ছে। আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের অঙ্গ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ১৫ নভেম্বর কিংবদন্তি আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামী ভগবান বিরসা মুণ্ডার জন্মবার্ষিকী’কে ঘিরে সপ্তাহব্যাপী ‘জনজাতি গৌরব দিবস’ উদযাপনের সূচনা করেছিলেন।এবার প্রতিবছর ১৫ নভেম্বর থেকে এক সপ্তাহধরে এই দিবস পালিত হবে।দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বীর উপজাতি সম্প্রদায়ের অবদানের কথা স্মরণে রেখে এই দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই উপলক্ষে নতুন দিল্লি সহ ১৩ টি রাজ্যে নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।দিল্লি হাটে জাতীয় উপজাতি উৎসবে ‘আদি মহোৎসব’এর সূচনা করেছেন ভগবান বিরসা মুণ্ডার নাতি শ্রী সুখরাম মুণ্ডা।এটি চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। এই উৎসবে উপজাতি জনজীবনের কারুশিল্প, রন্ধনশৈলী এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’কে তুলে ধরা হয়েছে।২০০টিরও বেশি স্টলে বিভিন্ন পণ্যের সম্ভার রয়েছে।এখানে হাতে বোনা তুলা, সিল্ক কাপড়, হস্তনির্মিত গহনা এবং ভারত জুড়ে কারিগরদের নানা রান্না স্থান পেয়েছে।
গুজরাটে’র আমেদাবাদ হাটে ৫ দিনের ঐতিহ্যবাহী উপজাতী সম্প্রদায়ের কারুশিল্প, খাদ্য, ভেষজ সামগ্রী বিক্রি এবং প্রদর্শনী মেলার আয়োজন করা হয়।আদিবাসী বিষয়ক ও পার্বত্য বিভাগের আওতাধীন উপজাতী সম্প্রদায়ের বিষয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান মণিপুরের ইম্ফল আর্ট কলেজের সহযোগিতায় ১৬- ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত উপজাতীয় শিল্প ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার উপর ৩দিনের রাজ্য স্তরের কর্মশালার আয়োজন করা হয়।তেলেঙ্গানা’র দুই কিংবদন্তি স্বাধীনতা সংগ্রামী – রামজি গোন্ড এবং কোমারাম ভীমের উপর ভিত্তি করে ভিডিও তথ্যচিত্রের একটি সিরিজ প্রকাশ করা হয়েছে। ছত্তিশগড়ে ১৫-১৭ নভেম্বর পর্যন্ত একটি বৃহৎ দুই দিনের উপজাতীয় কারিগর- কারুশিল্প মেলার আয়োজন করা হয়।জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে যথাযথ ভাবে ‘জনজাতি গৌরব দিবস পালিত হয়।উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চলে সাধারণ মানুষের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য উপজাতি মন্ত্রকের সহযোগিতায় দুদিনের বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।আন্দামান- নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে জারওয়া উপজাতিদের সমৃদ্ধশালী ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।