দুয়ারে সাংবাদিক – এইতো জীবন, যাক না যেদিকে যায় প্রাণ
সুমন মুন্সী, কলকাতা
নবমীর শেষ রাতেও বাঙালির আবেগ চরমে
দুর্গাপূজার শেষ রাতে গ্লাসের শেষ বিন্দু কে শুষে নিয়ে, বাঙালি তৈরী আগামী বছরের মাতৃবন্দনায় ।
পান্ডেমিক, প্লাবন, আম্ফান কিছুই বাঙালি কে দমাতে পারে না, শ্রীভূমির বুর্জ খলিফা,বা বিতর্কিত জুতা কান্ড কিছুতেই থামে না ।
যে বিচক্ষণতার সাথে, এই এক সপ্তাহে করোনার পঞ্চম ওয়েব কে নিয়ে আসার জন্য ব্যাকুল ছিল, তা সাধূবাদ প্রাপ্য নিশ্চিত!!!
বাঙালির আদর্শ আত্মবলিদান, যুগে যুগে অন্যের জন্য জীবন দিয়েছে বাঙালি। এবার উদ্যোগ আরো মহৎ ফার্মা, হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স, অক্সিজেন সহ টিকাকারণের নামক গণ লুঠের কর্মযজ্ঞে, মানুষ সাপ্লাই এর দায়িত্ব একা নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিল যেন ।
কিছু অশিক্ষিত ডাক্তার ও সংক্রমণ বিশেষজ্ঞ বেকার ভয় দেখায়, জানে না দূর্গা পূজার সময় করোনা জেলে থাকে বাইরে নয় । কোনো জীবাণু, ব্যাকটেরিয়া দুর্গা পূজার লাইনে দাঁড়ায় না, তাদের বারণ আছে ।
এহেন বিদ্যান গুণবান সারমেয় কুলের গর্ব কিছু পন্ডিতের কারণে, যারা স্বাস্থ্য বিধি মেনে পুজোর কদিন কাটালো তারাও বিপদে পড়বেন। অষ্টমীর দিন দেখলাম ৭ টি ১৮-৮০ বিশেষ রূপবতী গুণবতীরা সেজে গুঁজে ঘুরতে বেড়িয়েছেন কোলে ১-৩ বছরের ৪ টি শিশু। অপূর্ব দৃশ্য!! কবি বলেছে বন্যেরা বোনে সুন্দর , শিশুরা মাতৃ কোলে, কবি কিন্তু শিশুরা আজ মাতৃ কোলে নিরাপদ কিনা এ কথা বলেননি।
কেন ভারতবর্ষে নেতাজির মতো নেতা আসেন না, কারণ নেতাজির মা আর নেই। যোগ্য দেশ পেতে, যোগ্য মা প্রয়োজন । নূন্যতম সন্তানের সুরক্ষা যাদের চিন্তায় নেই, তাঁদের কেন ঈশ্বর মা করেন? জন্ম দিলেই কি মা হওয়া যায়?
এই বিশৃঙ্খলার মধ্যে আশার কথা ৯৬ কোটি মানুষ ভ্যাকসিন পেয়েছেন । আমি ব্যক্তিগত ভাবে সকল ডাক্তার ও স্বাস্থ্য কর্মীদের কাছে ক্ষমা প্রার্থী, এই জনতার ভালো আপনারা কেন, মা দুর্গাও করতে পারবেন না । আপনাদের সকল সতর্কতা বার্থ করে, বাঙালি বরণডালা সাজিয়ে করোনার চতুর্থ ও পঞ্চম ওয়েভ কে স্বাগত জানিয়েছে ।
এরপর সরকারের উচিত, বেকুবরত্ন, বেকুব বিভূষণ বেকুব শ্রী চালু করা । কয়েক কোটি হকদার পেয়ে যাবেন প্রতিবছর।
শিক্ষা ব্যবস্থা প্রকৃত শিক্ষা ছাড়া সব দিচ্ছেন। সমাজ সচেতন জাতি আর ফিরবে না , যারা সমাজের জন্য ভাবেন দ্রুত তাদের নির্বাসনে পাঠান হোক ।
নিরোদ সি চৌধুরীর সেই বিখ্যাত উক্তি “আত্মবিস্মৃত জাতি বাঙালি”, আবার প্রমান করলো, মহানায়কের সেই গানটাই আজ ট্যাগ লাইন “এইতো জীবন, যাক না যেদিকে যায় প্রাণ”।