সরকার এয়ার ইন্ডিয়ার বিলগ্নীকরণে অনুমোদন দিয়েছে
এয়ার ইন্ডিয়ার জন্য টাটা সন্স এর এপিভি – ট্যালেস প্রাইভেট লিমিটেড বরাত পেয়েছে
By PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ৮ অক্টোবর, ২০২১
এয়ার ইন্ডিয়ার জন্য অর্থনৈতিক বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটি মেসার্স টাটা সন্স প্রাইভেট লিমিটেডের অধীনস্থ সংস্থা মেসার্স ট্যালেস প্রাইভেট লিমিটেডকে ১০০ শতাংশ বরাত দিয়েছে। এর সঙ্গে এআইএক্সএল এবং এআইএসএটিএস –এর শেয়ারও এই সংস্থা পাবে। মেসার্স ট্যালেস প্রাইভেট লিমিটেড সর্বোচ্চ দরপত্র দিয়েছে। মন্ত্রিসভার বিশেষ কমিটির সদস্যরা হলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সহযোগিতা মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ, অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমণ, কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী শ্রী পিযুষ গোয়েল ও অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী শ্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। ট্যালেস প্রাইভেট লিমিটেড ১৮ হাজার কোটি টাকার দরপত্র জমা দিয়েছিল, যা সর্বোচ্চ। এর ফলে যে লেনদেন হবে, সেখানে অবশ্য এয়ার ইন্ডিয়ার ১৪,৭১৮ কোটি টাকার জমি ও বাড়ির মতো সম্পত্তি অন্তর্ভুক্ত হবে না।
এয়ার ইন্ডিয়ার বিলগ্নীকরণের পদ্ধতি ২০১৭র জুন মাসে শুরু হয়েছিল। সেই সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার কমিটি নীতিগতভাবে এই প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়। প্রথম দফায় উৎসাহী দরপত্র যথাযথ জমা পড়েনি, তাই ২০২০র ২৭শে জানুয়ারী আরেকবার দরপত্রের আহ্বান করা হয়। এখানে প্রাথমিক তথ্যাদি সংক্রান্ত বোঝাপড়া এবং আগ্রহ প্রকাশের জন্য অনুরোধ জমা পড়ে। ২০২০র জানুয়ারীতে এই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সময় এয়ার ইন্ডিয়ার ঋণ নবগঠিত এয়ার ইন্ডিয়া অ্যাসেট হোল্ডিং লিমিটেডকে হস্তান্তরিত করা হয়। কোভিড – ১৯ মহামারীর কারণে দরপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানো হয়। অতিরিক্ত ঋণের বোঝা ক্রমশ বাড়তে থাকায় ২০২০র অক্টোবরে দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়ায় সামান্য পরিবর্তন করা হয়। সেই সময়ে যারা দরপত্র জমা দিচ্ছেন, তাদের আগের মতো নির্দিষ্ট ঋণ এবং ১৫ শতাংশ নগদের মূল্যায়ন করে তার ইক্যুইটি নির্ধারণ করা হয়। উভয় ক্ষেত্রেই জমি, বাড়ি ইত্যাদি যেগুলিকে নন-কোর-অ্যাসেট বলে বিবেচনা করা হয়, সেগুলিকেও এয়ার ইন্ডিয়ার অ্যাসেট হোল্ডিং লিমিটেডকে হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
২০২০র ডিসেম্বরে ৭টি দরপত্র জমা পড়েছিল। এদের মধ্যে ৫টি সংস্থার দরপত্র ন্যূনতম চাহিদা না মেটায় বাতিল করা হয়। ২০২১ এর ৩০শে মার্চ এসংক্রান্ত প্রস্তাব এবং ক্রয় সংক্রান্ত চুক্তি প্রকাশ করে। এয়ার ইন্ডিয়া ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিভিন্ন তথ্য স্পষ্টিকরণ করে। সংস্থার কাছে দুটি মুখবন্ধ খামে দরপত্র জমা পড়ে। দরপত্র খোলার পরে দেখা যায় দুটি সংস্থার দরপত্র বিবেচনা করা সম্ভব। এগুলি হল, মেসার্স টাটা সন্স প্রাইভেট লিমিটেডের মেসার্ট ট্যালেস প্রাইভেট লিমিটেড (এই সংস্থা ১৮ হাজার কোটি টাকার দরপত্র জমা দেয়)। অন্য সংস্থাটি হল অজয় সিং এর। এই সংস্থা ১৫ হাজার কোটি টাকার দরপত্র জমা দেয়। দুটি সংস্থারই দরপত্রের ভিত্তির উপর বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পুরো প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। এর পর ইচ্ছাপত্র প্রকাশ করা হবে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে শেয়ার কেনা – বেচার চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। আশা করা যায় আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে।