রাজীব মুখার্জী:- করোনা অতিমারিতে সুন্দরবনের সন্দেশখালী 2 ব্লকের তুষখালী-আতাপুর গ্রামে আদিবাসী -অনগ্রসর শ্রেণীর কচিকাচাদের শিক্ষাবিমুখ হওয়া থেকে আটকাতে এগিয়ে এলো “তটকথা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।” সারাদিন নদীতে মীন ধরে দুবেলার খাবার জোটানোটাই যাদের কাছে কষ্টসাধ্য তাদের কাছে পড়াশোনাটা হয়তো বিলাসিতাই।
কিন্তু জীবনে শিক্ষারও যে বৃহৎ ভূমিকা আছে তা বুঝিয়ে তাদের শিক্ষামুখী করতে এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা একটি মুক্ত পাঠদান কেন্দ্র খোলার ব্যাবস্থা করেছে। পাঠদান কেন্দ্রের দায়িত্ব নিতে এগিয়ে এসেছেন কোলকাতা থেকে প্রদনয়া ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। মূলত গ্রামের তরুণ-তরুণী এবং প্রদনয়া ওয়েলফেয়ার সোসাইটির যৌথ উদ্যোগের ফল এটি। গ্রামের একটি টিনের চালের ঘরে শুরু হয়েছে এই পাঠদান কেন্দ্র।
শুরুতে প্রথম শ্রেনী থেকে থেকে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়াদের শিক্ষামুখী করার ব্যাবস্থা করা হয়েছে ঠিকই কিন্তু ভবিষ্যতে আরও উচ্চ শ্রেণীর পড়ুয়াদেরও ব্যাবস্থা করা হবে এমনটাই জানিয়েছেন পাঠদান কেন্দ্রের শিক্ষক এবং শিক্ষিকারা। শিশুদের বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে বই, খাতা, পেন, স্লেট, চক্, পেনসিল ও রবার। ‘তটকথা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা’র কয়েকজন সদস্য ও সদস্যা শিশুদের গল্পের ছলে পড়াশোনা শেখাচ্ছেন। থাকছে পড়ুয়াদের জন্য টিফিনের ব্যাবস্থা। বর্তমানে প্রায় জনা ৬০টি শিশু এই মুক্ত পাঠদান কেন্দ্রে আসে পড়াশোনা শিখতে।
পরবর্তীতে পড়ুয়াদের ক্যারাটে এবং আবৃত্তি শেখানোর পরিকল্পনা আছে তটকথার। অনগ্রসর শ্রেণীর একটি বাচ্চাও যাতে শিক্ষাবিমুখ না হয়ে পড়ে সেটাই এই পাঠদান কেন্দ্রের মূল লক্ষ্য।