বিপন্ন হিন্দুদের পাশে সর্বশক্তি নিয়ে দাঁড়াচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা দল
অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রজিৎ সিনহা আজ এক বার্তায় জানালেন, নির্বাচন পরবর্তীতে বাংলায় ঘরে ঘরে হিন্দু মেয়ে ও ছেলেরা বিপন্ন , ঘর ছাড়া আর সরকার ও প্রধান বিরোধী “খেলা হবে” বলে ফুটবলে লাথি মারছেন । কি বিচিত্র দায়িত্ববোধ !! এ যেন ফুটবলে নয় মানুষের পেটে লাথি ।
তিনি বলেন তথাকথিত হিন্দুদের মাসিহা সেজে ঘুরে বেড়ান কিছু দলের নেতাদের লজ্জা জনক দায়বদ্ধতা এড়ান দেখে কষ্ট হয় । সীমান্তবর্তী জেলা গুলিতে যেন বিন্যাস বিপদজনক ভাবে পরিবর্তিত এবং অবৈধ অনুপ্রবেশের ফলে হিন্দুরা আজ সংখ্যা লঘু। তাই আগামীদিনে পশ্চিমবাংলা যাতে পশ্চিম বাংলাদেশ না হয়ে পরে তার জন্য সকল কে সচেতন হতে হবে ।
দেশ ভাগের হতাশাজনক বিধানের কুফল ভারতের হিন্দুরা এখনো ভোগ করে চলেছে , ৯৭% মুসলমান পাকিস্তান চেয়ে ছিল কিন্তু কার্য্য ক্ষেত্রে সামান্যই পাকিস্তানে যায় আর আজ তাদের জন্যই সরকার চিন্তিত । কোনো মানুষের অধিকার খর্ব না করেও হিন্দুরাষ্ট্র করা প্রয়োজন ।
এই বিষয়ে তিনি বলেন, আজ স্বাধীনতার ৭৫বছরে সম্মান পাওয়া উচিত ছিল “গোপাল পাঁঠার” মতো সিংহ হৃদয় হিন্দু নেতা যার নেতৃত্ত গুনে হানাদার বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয় ও রায়ট বন্ধ হয় । সেই ন্যাক্কারজনক ক্যালকাটা কিলিং এর অধ্যায় আজ বাঙালি ভুলে রাস্তার মোর গরুর মাংস খাওয়ার উৎসব করছে এ ভাবতেও লজ্জা হয় ।
তাই আগামীদিনে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রজিৎ সিনহা সকল শক্তি নিয়ে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলবেন বলে আশ্বাস দিলেন । রাজনীতির উর্দ্ধে উঠে শুধু হিন্দুদের বেঁচে থাকার লড়াইয়ে পাশে থাকবেন বলে কথা দিলেন ।
এই প্রসঙ্গে আরো বলেন এবার মহাযজ্ঞের মাধ্যমে হিন্দু জাগরণের মধ্য দিয়ে আসল গোরক্ষা ও হিন্দু নারীর সম্মান রাখার দায়িত্ব সকল হিন্দু মহাসভার কর্মীরা নেবেন । কোনো নকল হিন্দুত্ববাদী দের মায়া কান্না নয় ।
এই প্রসঙ্গে বলেন রাজনীতির ধান্দাবাজি অনেক হয়েছে এবার মানুষের ঘুরে দাঁড়ানোর সময় ।
দিওয়ালির পর অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রজিৎ সিনহা এই মহাযজ্ঞের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন | উক্ত অনুষ্ঠানে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতি অফ সকল সাধু সন্তদের আশীর্বাদে ভারতের নবজাগরণের রাস্তা প্রসস্থ হবে ।
হিংসা নয় রাস্তা তাই বলে নীরবে হিন্দু আর মার্ খাবে না, আত্মরক্ষার অধিকার সকলের আছে । তাই তিনি সকল হিন্দু ভাই ও বোনেদের বললেন আপনার রাজনীতি ভিন্ন দলের হতে পারে, কিন্তু নিজের ধর্মের যোদ্ধাদের সাহায্য ও পাশে থাকা নৈতিক কর্তব্য ।
আসুন বাংলার প্রতিঘরে একজন করে অন্তত হিন্দু সেনা তৈরী করি ।
অখন্ড ভারতের স্বপ্ন প্রত্যেক ভারতীয়র জন্মসিদ্ধ অধিকার ।
জয় হিন্দ, জয় হিন্দুরাষ্ট্র।