5 জুলাই 2021, দুর্গাপুর: গত কয়েক মাসে মহামারীর কারণে মানসিক চাপ, উৎকণ্ঠা ও উদ্বেগের জটিল আবর্তে নিস্তেজ হয়ে পড়েছে কলেজ পড়ুয়া দের সবুজ মন গুলি l অতিমারীর কারণে
তাদের ভবিষ্যৎ আজ অনিশ্চিয়তার মুখে l সভ্যতার এই সংকটময় মুহূর্তে পাশে থাকার অঙ্গীকার নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে দি আর্ট অফ লিভিং l পশ্চিমবঙ্গের নামীদামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুই হাজারেরও বেশি ছাত্র দের নিয়ে এই কর্মযজ্ঞ চলেছিল তিন দিন দুর্গাপুরের বেঙ্গল ই্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র অনিকেত কুমার বলেন, পড়াশোনা ও আমার দু : শ্চিন্তা হত, কিন্তু শ্বাসের মাধ্যমে মন্দ ভাবাবেগ দূর করার কৌশল আয়ত্ব করে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করলাম। বেঙ্গল কলেজ অফ্ ফার্মাসিটিক্যালস, বেঙ্গল ই্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্ররা এতে অংশ নেয়। দুর্গাপুরের ছাত্র আকবর আলী বলেন, এখন আমি পুরোপুরি উজ্জীবিত, শান্ত এবং সক্ষমতা অর্জন করেছি। বেঙ্গল ইঞজিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষীকা মিস দিপ্তী দুবে বলেছেন, “এই তিনদিনে আমি লিখলাম কিভাবে চাপমুক্ত মনে এবং পূর্ন শক্তি নিয়ে একটি দিনের সূচনা করবে”।
ডঃ সুধীর চন্দ্র সুর ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র রাজেশ বিশ্বাস জানান, “পড়াশুনা ও খেলাধুলার সময় আমার উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা হত l কিন্তু এই তিন দিনের যোগ শিবিরে অংশ নিয়ে আমি জানতে পেরেছি শ্বাস ই ঋন্যাত্বক আবেগ ও ভয় কে জয় করার একমাত্র চাবিকাঠি” l আই আই টি খড়্গপুর, সি ক্যাম স্কিলস ইউনিভার্সিটি, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হোমিওপ্যাথি, নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, আই বি এস কলকাতা, হুগলী ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি কলেজ, ডক্টর সুধীর চন্দ্র সুর ডিগ্ৰী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এবং ভারত টেকনোলজি অফ ওয়েস্টবেঙ্গল ইত্যাদি বিশিষ্ট কারিগরি শিক্ষা সংক্রান্ত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা এই যোগ্যশিবিরে অংশগ্রহণ করেছিলেন l শরীরের মধ্যের শক্তিশালী রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাই কোভিডের মোকাবিলায় সক্ষম l দি আর্ট অফ লিভিং এর তরফে এই যোগ শিবিরের উদ্দেশ্যই হলো শ্বাস প্রক্রিয়ার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি তথা দুশ্চিন্তা মুক্তির সোপান গড়ে তোলা এবং এই ব্যাপারে কিছু যোগাসন, শ্বাসপ্রস্বাসের নিয়ন্ত্রণ ও ধ্যান ই একমাত্র কৌশলগত উপায় l
শ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসের স্বাস্থ্য রক্ষা তথা শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, উদ্বেগ ও হতাশা থেকে মুক্তির দ্বারা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কে বাড়িয়ে তোলাই ছিল শিবিরের প্রধান উদ্দেশ্য l “এই যোগ শিবিরে অংশগ্রহণের পূর্বে আমি মানসিক দিক থেকে বিপর্যস্ত ছিলাম ব্যক্তিগত কিছু সমস্যার কারণে l পড়াশোনা ও কোনো আগ্রহ বোধ করতাম না কিন্তু এখন শিবিরের শেষে যেন প্রাণশক্তি ফিরে পেয়েছি, ভেতর থেকে যেমন অনেকটা শান্ত হতে পেরেছি তেমনি কাজ করার উদ্দীপনাও পাচ্ছি “, জানালেন সৌভিক বসু, শিকম স্কিলস ইউনিভার্সিটি র ছাত্র l
যোগশিবিরের অনুভূতিতে উদ্বেল বি এইচ এম এস এর ছাত্রী সৃজা মাইতি জানালেন, “যোগশিবিরে অংশ নিয়ে জানতে পারলাম কেমন ভাবে দুশ্চিন্তা মুক্ত মন নিয়ে পূর্ণ কর্ম চাঞ্চল্লে দিন শুরু করা যায়” l প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে এদিন দি আর্ট অফ লিভিং সংস্থার তরফে সব বয়সের লোকেদের জন্য কোভিড যোগ নিয়মাবলী চালু করা হয় l আরও একবার প্রমাণিত হলো জীব সেবাই শিব সেবা, মানবিক মূল্যবোধ ও সহমর্মিতাই আসল মনুষত্ব ।