কোভিড-১৯ অতিমারী সত্ত্বেও ২০২০-২১ অর্থবর্ষে খাদি গ্রামীণ শিল্পোদ্যোগ কমিশন (কেভিআইসি)এর এযাবৎকালীন সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে
By PIB Kolkata
নয়াদিল্লী, ১৭ জুন, ২০২১
কোভিড-১৯ অতিমারী বছরভর নানা ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করেছে। তা সত্ত্বেও খাদি গ্রামীণ শিল্পোদ্যোগ কমিশন (কেভিআইসি) ২০২০-২১ অর্থবর্ষে এযাবৎকালীন সবচেয়ে বেশি আর্থিক লেনদেন করেছে। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে কেভিআইসি-এর ৮৮ হাজার ৮৮৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তা ৭.৭১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৯৫,৭৪১.৭৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
২০২০-২১ অর্থবর্ষে কেভিআইসি রেকর্ড পরিমাণ পণ্য উৎপাদন করেছে। গত বছরের ২৫ মার্চ দেশব্যাপি লকডাউন ঘোষণা হয়। তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে সমস্ত কাজ বন্ধ ছিল। তা সত্ত্বেও উল্লেখযোগ্য সাফল্য লাভ করেছে কেভিআইসি। প্রধানমন্ত্রী যে ‘আত্মনির্ভর ভারত’ এবং ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর আহ্বান জানিয়েছিলেন তারফলে কেভিআইসি-র এই সাফল্য আসে। অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রী শ্রী নীতিন গড়করি’র উদ্ভাবনী বিপণন চিন্তা-ভাবনা কেভিআইসি’র পণ্য ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য নিয়ে এসেছে। একইসঙ্গে স্থানীয় উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং খাদির ধারাবাহিক বৃ্দ্ধির পথ প্রশস্ত হয়েছে।
২০১৫-১৬ অর্থবর্ষের তুলনায় ২০২০-২১ অর্থবর্ষে কেভিআইসি-র ১০১ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। খাদি ই-পোর্টাল, খাদি মাস্ক, খাদি জুতো, খাদি প্রাকৃতিক রঙ, খাদি হ্যান্ড স্যানিটাইজার ইত্যাদির মতো একাধিক পণ্যের বাজার তৈরী হয়েছে। অতিমারীর জেরে দেশে স্পিনিং ও বুনন ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। কিন্তু খাদির পণ্য উৎপাদন ও বিক্রি বৃদ্ধির ফলে এই প্রভাব কাটিয়ে ওঠা কিছুটা সম্ভব হয়েছে।
কেভিআইসি-র চেয়ারম্যান শ্রী বিনয় কুমার সাক্সেনা জানিয়েছেন অতিমারীর পরিস্থিতি সত্ত্বেও সাধারণ মানুষ ‘আত্মনির্ভর ভারত’ এবং ‘ভোকাল ফর লোকাল’এর আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন। এরফলে খাদির সঙ্গে যুক্ত কারিগর, শিল্পী এবং বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যেভাবে স্বদেশী পণ্য কেনার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন, তারফলে খাদি ও গ্রামীণ শিল্পের পণ্যগুলির বিক্রি উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।