বায়োডিগ্রেডেবল যোগ চর্চার মাদুর তৈরি করে আসামের ছয় জন যুবতী জলজ আগাছার বিপদ থেকে হ্রদকে রক্ষা করেছে
By PIB Kolkata
নয়াদিল্লী, ৪ মে, ২০২১
আসামের মৎস সম্প্রদায়ের ছয় জন যুবতী জলজ আগাছা থেকে বায়োডিগ্রেডেবল এবং জৈব পদ্ধতিতে যোগ চর্চার মাদুর তৈরি করেছেন।এতে জলজ আগাছাকে সম্পদে পরিণত করার এক অভিনব পথ দেখিয়েছেন তাঁরা।
গুয়াহাটি শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমে মিষ্টি জল দীপোর বিলের প্রান্তে বসবাসকারী মৎসজীবি সম্প্রদায়ের যুবতীরা এই মাদুর তৈরি করে সকলের নজর কেড়েছেন।আন্তর্জাতিক স্তরে গুরুত্বপূর্ণ এই জলাভূমিটি রামসার অঞ্চল হিসেবে পরিচিত । এটি পাখিরালয় হিসেবেও স্বীকৃত। এই হ্রদের পাড়ে বসবাসকারী ৯টি গ্রামের মৎসজীবি সম্প্রদায়ের মানুষরা বছরের পর বছর ধরে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু কয়েক বছর ধরে এই হ্রদে জলজ আগাছা তৈরি হতে থাকায় জলের স্রোত কমেছে। ফলে তারা নানান আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হচ্ছেন।
মেয়েদের এ ধরণের উদ্ভাবনের ফলে এই জলাভূমির ওপর সরাসরি নির্ভরশীল পরিবারগুলি দীপোর বিলের পরিবেশ সংরক্ষণ এবং সুস্থায়ী উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারে। পাশাপাশি তাদের স্থানীয় জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রটিও সুনিশ্চিত করবে। ‘মুরহেন যোগ মাদুর’ নামে পরিচিত মাদুরটি শীঘ্রই একটি অনন্য পণ্য হিসেবে বিশ্ব বাজারে হাজির হবে।
ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের আওতাধীন স্বশাসিত সংস্থা নর্থ ইস্ট সেন্টার ফর টেকনোলজি অ্যাপ্লিকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এনইসিটিএআর)এর মাধ্যমে এ ক্ষেত্রে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়েছে। সমগ্র মহিলা সম্প্রদায়কে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ছয় জন যুবতী নেতৃত্ব এই কাজে দিচ্ছেন। এই ধরণের মাদুর ১০০ শতাংশ বায়োডিগ্রেডেবল, হাতে বোনা। এই মাদুর তৈরি করার ফলে স্থানীয় সম্প্রদায়ের যেমন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে, তেমনই তাঁরা আত্মনির্ভর হয়ে উঠেছেন।