ভারত সর্বজনীন প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবায় একটি মাইলফলক অতিক্রম করেছে
নতুন দিল্লি, ২১ মার্চ, ২০২১
ভারত আজ সর্বজনীন প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবায় আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অতিক্রম করেছে। চলতি বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে ৭০ হাজার আয়ুষ্মান
ভারত স্বাস্থ্য ও সেবা কেন্দ্র চালু করার যে পরিকল্পনা ছিল তা আগেই বাস্তবায়িত হয়েছে। এই স্বাস্থ্য ও সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে ৪১.৩৫ কোটি মানুষ চিকিৎসার সুযোগ পেয়েছেন। এরমধ্যে ৫৪ শতাংশ মহিলা। এর পাশাপাশি এই কেন্দ্রগুলি থেকে ৯.৪৫ লক্ষেরও বেশি মানুষকে টেলি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কোভিড জনিত অতি মারি পরিস্থিতিতেও রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য ও সেবা কেন্দ্র গুলিতে নিয়মিতভাবে চিকিৎসা
পরিষেবা দিয়ে আসা হয়েছে।
২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে এই প্রকল্প সূচনার পর দেশের জনস্বাস্থ্যের ইতিহাসে এটি বিশেষভাবে চিহ্নিত হয়ে রয়েছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে
শহর ও গ্রাম এলাকায় ১,৫০,০০০ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে উন্নীত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
বিএসসি নার্সিং এবং বি এ এম এস- এর যোগ্যতাসম্পন্ন একজন প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীকে কমিউনিটি হেলথ অফিসার হিসেবে মনোনীত করে উপস্বাস্থ্য
কেন্দ্র গুলিতে পাঠানো হবে।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র গুলিতে উন্নতমানের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার পাশাপাশি সাধারণ বেশ কিছু রোগের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে ঔষধ সরবরাহের তালিকা আরও বাড়ানো হয়েছে।
সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য যে প্যাকেজ করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে-
১) গর্ভাবস্থায় এবং শিশুর জন্মের যত্ন।
২) নবজাতক এবং শিশু স্বাস্থ্য সেবা।
৩) শৈশব এবং কৈশোরের স্বাস্থ্য সেবা।
৪) পরিবার পরিকল্পনা, গর্ভনিরোধক পরিষেবা এবং অন্যান্য প্রজনন সম্পর্কিত স্বাস্থ্য সেবা।
৫) জাতীয় স্বাস্থ্য কর্মসূচির রুপায়ন।
৬) সাধারণ অসুস্থতা এবং ছোট খাটো অসুস্থতার জন্য রোগীদের পরিষেবা।
৭) যক্ষ্মা ও কুষ্ঠ রোগের মতো জটিল রোগের চিকিৎসা ও রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা।
৮) মুখমন্ডলের স্বাস্থ্য সেবা।
৯) মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসা।
১০) চক্ষুরোগ ও নাক-কান-গলা রোগের চিকিৎসা।
১১) প্রবীণদের জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবা।
১২) আগুনে পোড়া দুর্ঘটনাজনিত ক্ষেত্রে চিকিৎসার ব্যবস্থা।