নাদিয়া কুলগাছি – বাবা কে সর্বশান্ত করলো গুণধর ছেলে ও বৌমা ?
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নাদিয়া কুলগাছি থেকে এক অসহায় পিতা আতঙ্কে ,অপমানে নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচার জন্য প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন ।
আগে পূর্ব কাহিনী শোনা যাক বৃদ্ধ পরেশ চন্দ্র রায় ও তার স্ত্রী পুষ্পারানি রায় তাদের কষ্টের টাকায় করা বাড়ি ছেলের কে লিখে দেন কয়েক বছর আগে । প্রথম প্রথম ঠিকই ছিল, কিন্তু ক্রমশ ছেলে আনন্দ রায় ও বৌমা সবিতা রায় স্বরূপ প্রকাশ করা শুরু করলেন । দুর্ব্যবহার থেকে শারীরিক নির্যাতন চলতে লাগলো ।
সম্প্রতি ছেলে মদ্যপ অবস্থায় বৃদ্ধ পরেশ চন্দ্র রায় কে যখন মারধর করেন, বৃদ্ধ আর ধ্যৈর্য রাখতে পারেনি বাধ্য হয়ে ছেলে কে পুলিশের খাতায় নাম লেখান।
কিন্তু নাদিয়ার ভীমপুর থানার পুলিশ এলাকায় ডাক্তার হিসাবে পরিচিত ফার্মাসিস্ট ব্যাবসায়ী পরেশ বাবুর ডাইরি নিতে চাইনি বলে অভিযোগ, পরে লোকাল লোকের কারণে বাধ্য হয় ডাইরি নিতে ।
পরে পুলিশ এসে পরেশ বাবুদের চাপ দিতে থাকেন, তখন পরেশ বাবুর এক মেয়ে অসহায় বাবা ও মায়ের হয়ে রুখে দাঁড়ালে পুলিশ সাময়িক পিছু হাঁটে ।
এই নিত্য অশান্তির আরো কারণ, পরেশ বাবুর অপারেশনের সময়, তার সই করে রাখা চেক দিয়ে ছেলে আনন্দ টাকা তুলে নেয় এবং আত্বিয়দের থেকে অসুস্থ বাবার নাম করে টাকা তোলে বলে বৃদ্ধ অভিযোগ করেন ।
সমাজের সকল শুভ বুদ্ধির মানুষের কাছে ও প্রশাসনের কাছে তার একটাই অনুরোধ তার কষ্টের সম্পত্তি যা দেন পাত্র করেছেন আগে আনন্দের নাম তাদের ফিরিয়ে দেয়া হোক।
আইন ও আদালতে এই বিষয়ে মামলাও রজ্জু রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন । আনন্দ কে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি স্থানীয় প্রতিনিধির মাধ্যমে ।
আজ মানুষ যদি নিজের রক্তের কাছে প্রতারিত হয় তো কি করা যাবে , এর কি সমাধান হবে তাই এখন এলাকার মানুষে প্রশ্ন।
অনেকের দাবি আনন্দ রাজনৈতিক ভাবে সচেতন তাই অনেকেই ভয় পাচ্ছেন এগিয়ে এসে কিছু বলতে । এমনকি দম্পতির চার মেয়ে জামাইও
শালা ও শালার বৌয়ের ভয়ে আতংকিত ।
বিষয়টি বিচারাধীন তাই সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে অনুরোধ , বৃদ্ধ ও বৃদ্ধা কে মানসিক শান্তির ব্যবস্থা দ্রুত করা হক ।