সত্যমেব জয়তে – বিজেপি কে শ্যাম থাপার বাইসাইকেল কিক দিলো মেহেতাব হোসেন – উন্নয়নের ঠেলা ?
“কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায় , দেখে অবাক বোনে যাই”
“মেহেতাব হোসেন বিজেপিতে যোগ দিলেন – সংখ্যালঘু ব্র্যান্ডিং ও এবার রাজ্য বিজেপিতে” এই শিরোনামে একটা খবর করলে কেমন হয় ভাবছি , এমন সময় ইন্দ্রজিৎ ফোন করলো , “সুমন দা মেহেতাব রাজনৈতিক সন্যাস নিলো” এক নিস্বাসে বলে থামলো ।
কিংকর্তব্যবিমূড় এর চলতি বাংলা কি , আবুল বাশার ভাই ঢাকায় থাকতে বলেছিলেন “স্যার এর মানে চোদনা হয়ে যাওয়া” ভাষাটা বড় মেঠো হয়ে গেলো , কিন্তু কিছু মনে করবেন না । আমি সেই ভাষাতেই খবর করি যা আপনার বেডরুমের ভাষা ৮-৮০ ঘোমটার নিচে নাচতে নাচতে বলে।
আসুন বিষয় নিয়ে আমার চিন্তাটা শেয়ার করে দেখি , আপনাদের কি মনে হয় । দিলীপদা ও দিদি মনি পড়বেন এবং বাংলার প্রকৃত উন্নয়নের জন্য ভাববেন জনগণ যাকেই আশীর্বাদ করুন , বিষয় কিন্তু একই থাকবে ।
১. বিজেপি পাকা গুঁটি কাঁচাতে ব্যাস্ত সর্বদা এই লোকে ভাবছে । শোভন ,দেবশ্রী, মেহতাব হোম ওয়ার্ক না করেই সিলেকশন । দেখ কেমন লাগে , কেমন দিলাম দেখোন দাড়িতে পড়ে, বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব প্লেয়িং ফর দ্যা গ্যালারি করতে গিয়ে মুখ পোড়ালেন ? নাকি দিদির সুপার গ্রাউন্ড ম্যানেজমেন্ট বিচার করবেন’ সুধী পাঠক ।
২. পেশী শক্তির কাছে ও ব্ল্যাক মেইল এর কাছে হার মানতে বাধ্য হচ্ছে নতুনরা । ভয় কি তবে কালীঘাটের মায়ের না দিদির ? গণতন্ত্রের পক্ষে খুবই ভালো প্রচেষ্টা , আমরা সবাই রাজা আমাদেরই রানীর রাজত্বে । শোভন ,দেবশ্রী, মেহতাবরা কি ভয় পেলেন ? দুর্জনেরা তাই বলছেন কিন্তু ।
৩. বলিউডের সুশান্ত সিংহের মতো নতুন কুড়িরা বাংলাতেও নেপোটিসিমের শিকার । ফিরহাদের সংখ্যালঘু একছত্র ছবি ঠিক রাখার জন্য বিশেষ ভালোবাসায় মেহতাব বনবাসের পথ বেছে নিলেন কি ? তাঁর মতো লড়াকু খেলোয়াড় মাঠ ছেড়ে পালাবেন সেটা কি এতই সহজ ? নাকি এ অন্য মাঠ আর খেলার নিয়ম ও অজানা ।
৪. পঞ্চায়েত ভোটের পরিবেশ কি বিধানসভায় তৈরী হচ্ছে ? সুস্থ গণতন্ত্র কি সেটাই, যেখানে কম করে কয়েক হাজার মায়ের কোল খালি হবে , সাদা শাড়ীতে বা পাঞ্জাবিতে রক্তের বুটিক কাজ দেখা যাবে ? ডিমভাত বা চায়ে পে চর্চা সাথে কিছু হাঁড় হিম করা দৃষ্টি চিনে নেবে আগামী কামদুনি বা চোপড়া কে । ধর্ষণ সেটা তো দেহের স্বাভাবিক সর্দি কাশির মতো বা উচিত শিক্ষা ইটের বদলে পাটকেল ? মায়েদের অসম্মান করলে তবেই না বীর বাহিনী কিছু কাজের কাজ ছোট করে করলো । হায়রে মাতৃ জাতি তোদের গর্ভেই জন্ম মোর আর তোদেরি রোজ লাঞ্চিত হতে দেখি , এই ছেলের এই অক্ষমতা ম্যাপ কর মায়েরা ।
মেহেতাবের ব্যাককিক কিন্তু অশনি সংকেত রাজনীতি আর সুবিধা ভোগীদেরও জায়গা নয়, শুধুই পেশী শক্তির আস্ফালনে স্থির হবে “বঙ্গে কন বানেগা মুখ্যমন্ত্রী” ।
সাংবাদিকদের ডিপ্লোমেটিক ইমিউনিটি প্রয়োজন পেশার ক্ষেত্রে না হলে , শেষ কণ্ঠস্বর ও দমিত হবে ।
বিজেপি না টিএমসি তামাশা চলবে ২১ শের মে পর্যন্ত্য, কিন্তু নিশ্চিত রক্ত ঝড়বে আগে ,পরে , বহুদিন ।
গণতন্ত্র কে হত্যা করে , ফ্রী আফিঙের নেশায় মন মজাতে ব্যাস্ত উভয় পক্ষ। কিন্তু ইতিহাসে কি তাতে ঝাঁসির রানীর সম্মান বা পৃত্থিরাজের সংযুক্তা লাভের গল্প বলা যাবে বর্তমান সময় কে নিয়ে| ভবিষ্যতে নাকি পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা গোপালের মতো নতুন কাউকে পাবে বাংলা ?
বাংলার জিডিপি কত ভালো এ সম্পর্কে “গঙ্গারাম কে পাত্র পেলে জানতে চাও সে কেমন ছেলের মতো হয়ে যাবে” দিদি আপনার প্রচেষ্টা কে ছোট না করেও বলছি , ১৭৫৭ পলাশীর ময়দান , ১৮৫৭ সিপাহী স্বাধীনতার লড়াই ,১৯৪৭ স্বাধীনতা , ১৯৬২ ড: বিধান রায়ের প্রয়াণ , ১৯৭৭ বাম যুগের শুরু ,২০১১ আপনার অধিষ্ঠান বঙ্গের মসনদে; এই সকল সময়ে বাংলার সারা বিশ্বে অবদান আর ২০২০ তে বাংলা কোথায় ?
আপনার তথ্য আর তত্ব বাদ দিয়ে কিছু প্রশ্নের জবাব দিন ধরুন আপনি ১৯৮০ বা ২০০৬ য়ে আছেন আর সময়টা ঠিক আজকের মতো , নিচের প্রশ্ন গুলো করবেন কিনা ?
১. কেন বিধান রায় বা NRS এর মতো মেধাবী ডাক্তার তৈরী হয় না , কেন বিজন বসের মতো সৎ ইঞ্জিনিয়ার তৈরী আর বাংলায় হয় না ?আইআইটি বা আই এস এই ইত্যাদি বাদে অনন্যাও সরকারি ও প্রাইভেট কলেজ দেখুন। কেন চিকিৎসার জন্য ভেলোর বা দিল্লি যাবো ? কেন ব্রিজ তৈরির আগে ভেঙে পরে, কিন্তু এই দেশেই কাশ্মীরে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্রিজ হয় , বাঙালির আর তার অতীত গৌরবের কোনো ছোঁয়া ছাড়া ।
একজন দুজন বিক্ষিপ্ত সফল কে না ধরে, বলা যায় সামগ্রিক উন্নয়নের করুন ছবি আর জন্য আপনি একা কোনো ভাবেই দায়ী নন । এটা বলতে হবে না , বাস্তবিক ই বাংলার পতন নকশাল আন্দোলনের ব্যর্থ চেষ্টার সময় থেকে শুরু । ইন্ডাস্ট্রী তাড়ানোর দায় আপনার নামে যারা দেবে, তারা এক সিঙ্গুরকে আর নন্দীগ্রামকে দেখাবে , কিন্তু আগের জামানা যে , হাওড়া ,দমদম ,কল্যাণী , দুর্গাপুর কে জনগণতান্ত্রিক আন্দোলনের চিতায় তুলে দিলেন সেটাও ভুললে চলবে না ।
ব্যক্তিগত ভাবে আমি পৃথিবীর চারটি মহাদেশের ৪৮ টা দেশের অত্যাধুনিক রিসার্চ ল্যাবরেটরির মান উন্নয়ন ও তথ্য প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করেছি , ওষুধ আবিষ্কারের সকল গবেষণাগারই কিছু না কিছু ধুলো মেখেছি গায়ে । তাই দুঃখের সাথে বলছি হয় জেনে বুঝে মানুষ কে ভুল বোঝাচ্ছেন বা আপনার (সকল রাজনৈতিক দাদা দিদিরা) এক্সপার্টরা ইয়েস ম্যাডাম হয়ে নিজেদের কাজ করছেন ।
এতে আর যাই হোক শিক্ষা ক্ষেত্রে নবজাগরণ আসবে না । আজকের মা ও বাবারা কি খুশী ছেলে মেয়ে ১০০ তে ১০০ পরীক্ষা না দিয়ে । তারা ছেলে ইঞ্জিনিয়ার এতেই আনন্দিত, সে ইঞ্জিনিয়ার পাখা উল্টো ঘুরিয়ে দিলেও সোনার টুকরো , গলায় টেথিসকোপ ঝুলিয়ে নিলেই যদি ডাক্তার হতো ,তবে আর ক্লিনিকাল আই আর মেডিক্যাল অব্জারভেশন উইথ ডাইনোস্টিক এনালাইসিস দরকার হতো না । ১০০ এর জায়গায় ১০০০ রুগী রোজ দেখেন প্রফেসররা| কি দেখবেন, কি শেখাবেন !! আল্লাহ ভরসা সিস্টেম । এক দিনে ১০-১৫ জনের বেশি রুগী নয়, এক একজন প্রফেসর ১০ জনের বেশি নতুন ডাক্তারদের অ্যাটাচ করবেন না ।
উন্নত মানের টেস্ট ল্যাব ,মাইক্রো বায়োলজি থেকে ভাইরোলজি ,জেনেটিক্স থেকে মলিকুলার বায়োলজি সকল সেকশনে সেরা ইনস্ট্রুমেন্ট ও টেকনিশিয়ান বসান ।
নীল সাদা সুপার স্পেশালিটি রং নয় , সত্যি করে নীল রতন সরকার , বিধান রায় , নিহার মুন্সী , আর জি কর দের নিয়ে আসুন অনুগত সেন বা অনুপ্রাণিত মাঝি , এ গঙ্গা পার করতে পারবেন না । আবার সেই সোনার দিন ফেরত আনুন বাংলার মেডিকেল শিক্ষায় । ভেলোর থেকে ট্রেন করে যেদিন রুগী আসবে (মুরগি নয়) সেদিন হবে এগিয়ে বাংলা ।
২. কেন প্রাথমিক থেকে উচ্ছ শিক্ষায় টাকা নিয়ে বা অযোগ্য স্বজন কে শিক্ষক করা হচ্ছে (প্রমান করার জন্য স্টিং অপারেশন করতে হবে না । সাহস থাকলে যে কোনো শিক্ষক যারা ২০০০ থেকে ২০২০ মধ্যে ঢুকেছেন আবার পরীক্ষা নিন আর দেখুন কজন সার্টিফিকেট ছাড়া গ্রাজুয়েট । ঠগ বাঁচতে গাঁ উজাড় হয়ে যাবে ।
৩ স্টেরিও টাইপ সিলেবাস যা অক্সফোর্ড বা হার্ভার্ড বা এমআইটির ধারে পাশে আসেনা । সস্তার যন্ত্রপাতি আর লোক দেখানো ল্যাবরেটরি আর যাই হোক জগদীশ বোস ,মেঘনাথ সাহা বা সত্যেন বোস দিতে পারবে না ।
ইন্ডাস্ট্রি না থাকলে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং হয় না । ইন্ডাস্ট্রি কিন্তু লেদ মেশিন বা অটোম্যাশন দিয়ে হয় ,হোম ডেলিভারি আপস বা চপ দিয়ে নয় । ভাবের ঘরে চুরি আর বামপন্থী জঙ্গি আন্দোলন অনেক হলো, এবার কিছু কাজের কাজ হোক । কুমিরের মতো সেক্টর ফাইভ আর রাজার হাট দেখিয়ে লাভ নেই ,সে অন্য গল্প ।
কেন করোনার ভাইরাস রিসার্চ ট্রায়াল ট্রপিকাল মেডিসিন করা যায় না ? কেন নেই আধুনিক জেনেটিক ল্যাব । যে পরিষেবার জন্য আমাদের ভিন রাজ্যে যেতে হয় সেটাই স্কোপ ফর ডেভেলপমেন্ট ।
৪. মেডিকেল সিস্টেমে যে নিম্ন মানের সাপ্লাই আসে, তাতে রোগীর থেকে হাসপাতালটার চিকিৎসা আগে দরকার ।
৫. ফ্রি রেশন এই প্রহসন ভারত জুড়েই বন্ধ করা দরকার । কাজের বদলে খাদ্য দিন , লোক কে অকর্মন্য হারাম খোর করে তুলবেন না সকলে মিলে ।
৬. যে রাজনৈতিক বিষাক্ত পরিবেশ তৈরী হয়েছে তাতে মেহেতাবের ব্যাক কিক, শুধু সময়ের অপেক্ষা ছিল, আর এই বেনো জল নিয়ে যদি বিজেপি আপনার ঘর ভাঙিয়ে নিজের বাগান সাজায় জানবেন , আপনার থেকেও বড় ভুল তারা করবে। কারণ আপনার তো তাও বিরোধী আছে । তারা এই চোরদের নিয়ে ঘর সাজালে সরকার বিরোধী এক সাথে চুরি করবে ।
যাকে বলে আয় ভাই লুটে পুটে নয় পুঁতে খাই । আনন্দ মঠ লেখার ক্ষমতা বা প্রতিভা কোনোদিনই আমার হবে না, তবে বন্দেমাতরম অন্তর থেকেই বলি ও বলবো ।
আপনিই অগ্নিকন্যা , আপনিই এখনো বেস্ট পাবলিক ফেস ফর পলিটিকাল ফাতেরনিটি অফ বেঙ্গল ।
লেগে পড়ুন দু পক্ষই করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে স্টাইলে, তবে পদ্ধতি টা পিকের বা দিল্লির নয়, আমার কথা একবার শুনুন ।
১. এমন কিছু পরিকল্পনা করুন ফ্রি চাল ডাল নয় , ফ্যাক্টরি আর জিডিপি বাড়ে এমন কিছু উদ্যোগ করুন দুজনেই ।
২. আইআইটি বা আইআইএম থেকে ভালো প্রতিষ্ঠানের শুরু করুন| দেশ বিদেশের গুণী মানুষ কে শিক্ষক নিয়োগ করুন | আপনাদের মতে অনুপ্রাণিত না হলেও চলবে, যদি ছাত্র দরদী পন্ডিত হয় ।
৩. প্রকৃত কিংস কলেজ লন্ডন বা এমআইটির মতো ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে হোক ।
৪. মিডিয়া ম্যানেজ করে লোক জেতা যাবে না আর , লং টার্ম ভালো কাজ করুন, যদি থেকে যান সোনার বাংলায় আপনিই রানী আর চলে যান , তবে বিধান বাবুর মতো লোকে কিছু সোনার প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা বলে মনে রাখবেন । তবে আপনার বর্তমান দেশি বিদেশী ধান্দাবাজ ভাইদের দিয়ে হবে না , এরা দিন বদলের পাখি অন্য ডালে বসে যাবে সহজেই ।
আর দিলীপদা দিদির প্লানের থেকে বেটার প্ল্যান দিয়ে মন জিতুন, ইটের বদলে পাটকেল তো আছেই , পারলে ভারতরত্নের পাল্টা নোবেল দিন । তারপর দেখুন এই পোড়া দেশ আপনাদের রামের নয় আম জনতার দয়া ই ক্ষমতা দেবে ।
দিদি বা দাদারা কেস দেবেন না প্লিজ , কারণ দিদি আপনার রাইটার্সের প্রবেশের ছবি তুলবো বলে ৭ ঘন্টা রোদে দাঁড়িয়ে ছিলাম ২০১১ তে । আজ যদি আফশোস করি সেটা কেন কি কারণে একবার ভেবে দেখবেন ?, যারা লড়েছিল একসাথে আজ কেন নেই পাশে বা অকালেই মুকুল ঝরে যায় কেন ?
আচ্ছা দিন অনেক হলো , আচ্ছা বাংলা চাই স্যার , প্রতিষ্ঠাতা শ্যামা প্রসাদ, চিত্তরঞ্জন থেকে ইস্কো অনেক কিছুর পেছনেই অবদান রেখেছিলেন , আসুন , অল্টারনেট প্ল্যান দিন ,প্রতিযোগিতা হোক প্রকৃত মনস্তাত্ত্বিক ।
এই বাংলায় ফ্রি দিলে মানুষ বিষ আর বিষ্ঠা দুটোই দুবার খায় আত্ম বিস্মৃত জাতি ক্ষমা করে দিন সকলে । অনেক দিন আসল উন্নয়ন দেখেনি ,সরকারি চাকরি কেই উন্নয়নের পরাকাষ্ঠা মনে করে ।
চাঁদের পাহাড়ের শঙ্কর নয় , সেক্টর ফাইভের সেজো বাবু অনেক বেশি কাম্য । সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার আর সাইবার কুলি এর মধ্যে কি তফাৎ তাই বোঝেনা । ফোড়নের কাজ নিয়ে বিদেশ গেলে মায়ের কি আনন্দ , ছেলে আমার বিলেত ফেরত । বিশ্বাস করুন বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অন সাইট মানেই কিন্তু বড় কোনো কাজ নয় । কিন্তু গ্ল্যামার অনেক বেশি সাথে সুগার প্রেসার ফ্রি ।
আসুন নতুন বাংলা গড়ি , কে সরকার,কে বিরোধী পরে হবে , বাংলা কে আবার ভারতের মুকুট করতে হবে ।