ইলেকট্রিক বিল এসেছে দশ গুন্ ? কথা না বাড়িয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে দিয়ে আসুন । দিতে না পারলে ইনস্টলমেন্ট এ দিন ।
হিস্ট্রি রিপিট হারসেল্ফ ফরাসি বিপ্লবের ইতিহাস – রানী বললো “রুটি নেই তো কেক খাক” – আওয়াজ উঠল খানকি মাগীর সরকার আর নেই দরকার|
এক ঐতিহাসিক উক্তি, সত্য মিথ্যার ঘেরা টোপে বা তোপে ঝুলতে থাকলো শতাব্দীর পর শতাব্দী । সত্যি কি ফ্রান্সের রানি মেরি আঁতোয়াঁনেৎ জীবনের কোনো অসতর্ক মুহূর্তে বলেছিলেন “কিল মঁজেঁ দ্য লা ব্রিওখ’। তাহলে ওরা কেক খাক। রুটি নাই তো কী!?”
কেন করোনা যুগে প্রাচীন কথা তুলে আনছি ,যদি মিল খুঁজে পান, তবে চুপ করে থাকুন, আর না পেলে আনন্দে থাকুন,আপনি মহান সেই সচিদানন্দ,যে সম্পূর্ণ স্থিতপ্রজ্ঞ ।
ফরাসি জনগণ তখন অতিষ্ট আর আওয়াজ উঠছে রাজা নিপাত যাক , খানকি মাগীর সরকার আর নেই দরকার । রাজা ষোড়শ লুই ও ফ্রান্সের রানি মেরি আঁতোয়াঁনেৎ রীতিমত চিন্তিত বিপ্লবীদের কাজ কর্মে এমন সময় গুপ্তচর বিভাগ খবর আনলো দুর্ভিক্ষের সময় ফরাসি চাষিরা যখন ক্ষুধায় মরছিল, তাঁর স্বামী রাজা ষোড়শ লুইকে সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়েছিল “ওরা রুটি খেতে পাচ্ছে না।” শুনে তখন নাকি মেরি বলে উঠেছিলেন, ‘কিল মঁজেঁ দ্য লা ব্রিওখ’। তাহলে ওরা কেক খাক। রুটি নাই তো কী!
কি সাংঘাতিক মনোভাব অতএব খানকী মাগি কে কেটে ফেলো , মেরে ফেলো আওয়াজ উঠলো ফ্রান্স জুড়ে ।
আসুন দেখা যাক ফরাসী বিপ্লবের সময়কার ফ্রান্সের রানি মেরি আঁতোয়াঁনেৎ জীবনের শেষ মুহূর্তে কী ভাবছিলেন কে জানে! গিলোটিন মঞ্চে যাওয়ার পথে ,হঠাৎ জল্লাদের পা মাড়িয়ে দিলেন। সে জন্য ক্ষমাও চাইলেন। তারও আগে ভোরে শেষ চিঠিটি লিখে এসেছেন : ‘১৬ অক্টোবর, ভোর ৪.৩০। হে ইশ্বর, আমাকে ক্ষমা করো। হতভাগা সন্তানদের জন্য আর কী কাঁদব! চোখের জলও যে ফুরিয়ে গেছে। বিদায়, বিদায়!’ যে মানুষটি জীবনের শেষ মুহূর্তেও এমন মমতাময়ী, বহু ফরাসির কাছে তিনি আজও এক ঘৃণ্য নাম।
তবে রানি আঁতোয়াঁনেৎ এমন কথা বলেছিলেন, তার কোনো প্রমান ইতিহাসে নেই। ‘কিল মঁজেঁ দ্য লা ব্রিওখ’ কথাটি প্রথম লেখেন রাজনৈতিক দার্শনিক জঁ জ্যাক রুশো আত্মজীবনী ‘কনফেশনস’, ফরাসি বিপ্লবের অনেককাল আগে। তখন মেরির বয়স ১০ বছর, নিজ দেশ অস্ট্রিয়ায় ছিল তাঁর শিশুর জীবন। আরো চার বছর পর রাজা ষোড়শ লুইয়ের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পর আসেন ফ্রান্সে। সত্যি বলতে কী, তাঁর জন্মেরও ১৮ বছর আগে রুশো এক চিঠিতে প্রথম ‘কিল মঁজেঁ দ্য লা ব্রিওখ’ বাক্যটি লেখেন। আর তাঁর আত্মজীবনীতে কথাটি আসে আরেক ‘রাজকুমারী’র জবানিতে। হতে পারে রুশোর নিজ ভাবনা থেকেই কথাটি বলেছিলেন, কিংবা তিনি আসলে মেরি তেরেসের প্রতি ইঙ্গিত করছিলেন।
আসলে বিপ্লবীরা অভিজাত সমাজের সঙ্গে জনগণের দূরত্ব তৈরির ষড়যন্ত্র থেকে ‘লেট দেম ইট কেক’ কথাটি মেরি আঁতোয়াঁনেতের নামে ছড়িয়ে দেয়। বিপ্লবোত্তর সময়ের ফরাসি ঐতিহাসিকরাও আভিজাত্যের প্রতি ঘৃণা থেকে সত্যি কথাটি বলেননি?
ষড়যন্ত্রটা এমনই ছিল সাবেক রানিকে শোকের কালো গাউনটা পর্যন্ত পরতে দেওয়া হয়নি। কর্তাদের ভয় ছিল, তাঁকে হত্যা করার দৃশ্য কাউকে কাউকে সমব্যাথি করে তুলতে পারে। জনতার মধ্যে রাজপরিবারের পক্ষে কোনো জনমত তৈরি হতে দেওয়া যাবে না! তাই গিলোটিনে যাওয়ার আগে মেরিকে পরানো হয়েছিল সাদা সুতির একটি গাউন। তখন ফ্রান্সে ঘড়ির কাঁটা দুপুর ১২টা ১৫ মিনিট। ১৬ অক্টোবর, ১৭৯৩। আর বাতাসে ভাসতে থাকে খবর : ‘রুটি নাই তো কেক খাকগে’ বলে যে রানি দরিদ্র চাষিদের অবজ্ঞা করেছিলেন তার উপযুক্ত শাস্তি হয়েছে।
১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দের ২ জুন জিরোন্ডিনদের ক্ষমতাচ্যুত করে জ্যকোবিনরা ফ্রান্সের রাষ্টক্ষমতা দখল করে৷ এরপর থেকে ১৭৯৪ খ্রিস্টাব্দের ২৮ জুলাই রোবসপিয়ারের ক্ষমতাচ্যুতি পর্যন্ত ফ্রান্সে যে এক কেন্দ্রিক ও কঠোর শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তাকে বলা হয় সন্ত্রাসের শাসন৷
তবে ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দের ১৩ ই জুলাই মিরাবোর মৃত্যুর পর সন্ত্রাসের শাসন তিব্র আকার ধারণ করে৷ মূলত ফরাসি বিপ্লবের অন্যতম নায়ক রোবসপিয়ারের নেতৃত্বে সন্ত্রাসের শাসন চলেছিল৷ বিপ্লবকে রক্ষার নামে ব্যক্তিগত একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে রোবসপিয়ারের নেতৃত্বে প্রায় ৪০ হাজার মানুষকে প্রায় বিনবিচারে হত্যা করা হয়৷ এই কারণেই ঐতিহাসিকরা সন্ত্রাসের রাজত্বের সমালোচনায় সরব হন৷
যদিও ঐতিহাসিক হেইজ মনে করেন – সন্ত্রাসের রাজত্ব ফরাসি বিপ্লবকে রক্ষা করেছিল৷ আজ্ঞে বৈপ্লবিক পরিবর্তন তো আমাদের ও হয়েছিল তাই কি এতো শক্তি প্রয়োগ চার দিকে
ফরাসি বিপ্লবের পিছনে দার্শনিকদের অবদান দেখা যাক” বর্তমানে যাহাকে সুশীল সমাজ না বিদ্দজন কি যেন বলে লোকে ?
ফরাসি বিপ্লব পৃথিবীর ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ঘটনা৷ যেকোনো বিপ্লবের মতো ফরাসি বিপ্লবের পিছনে সামাজিক,রাজনৈতিক,অথনৈতিক কার দায়ী ছিল৷ পাশাপাশি দার্শনিকরা ফরাসি বিপ্লবের ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিল৷ তাই বিপ্লবে তাদের অবদান কম নয়৷যেসমস্ত দার্শনিক ফরাসি বিপ্লবে অবদান রেখেছিলেন তাদের ভূমিকা নিন্মাবলি –
ক) মন্তেস্কু : পেশায় আইনজীবি ফরাসি দার্শনিক মন্তেস্কু ছিলেন বিপ্লব বিমুখ এবং নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্রের সমর্থক৷ ১৭৪৮ খিঃ তিনি তার বিখ্যাত গ্রন্থ “The Spirit of Laws” –এ রাজার ঈশ্বরদত্ত ক্ষমতাধর বিরোধিতাকরে,ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির সমর্থন করেন৷ তার অন্য গ্রন্থটি হল ‘দি পার্সিয়ান লেটার্স’ – এ ফ্রান্সের প্রচলিত সমাজ,অভিজাততন্ত্র ও রাজতন্ত্রের কঠোর সমালোচনা করেন৷
খ) ভলতেয়ার : কবি,নাট্যকার, সাহিত্যিক, দার্শনিক ভলতেয়ার ইউরোপীয় সাহিত্য জগতের মধ্যমণি৷ সমকালিন ফ্রান্সের গির্জার দুর্নীতি,সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় অনাচার,বৈষম্যকে সর্ব সমক্ষে তুলে ধরে এক জাগরণ সৃষ্টি করেন৷ তিনি ছিলেন প্রজাহিতৈষী রাজতন্ত্রের সমর্থক৷ তার রচিত দুটি বিখ্যাত গ্রন্থ হল – ‘কাদিদ’,লেতর ফিলোজফিক’৷
গ) রুশো : ফরাসি দার্শনিকদের মধ্যে সর্বপেক্ষা জনপ্রিয় রুশো৷ তাকে ফরাসি বিপ্লবের জনক বলা হয়৷ সামাজিক চুক্তি’ নামক গ্রন্থে তিনি বলেন “Man is born free,but every where he is in chains.” এছাড়া ‘অসাম্যের সূত্রপাত’ নামক গ্রন্থে তিনি প্রচলিত সামাজিক কুসংস্কার ও বৈষম্য,অত্যাচারের মূলে কুঠারাঘাত করেছেন৷ রাজার দ্বৈত অধিকারকে তিনি অস্বীকার করেছেন৷
ঘ) : ডেনিস ডিডেরো, দ্য এলেমবার্ট সমসাময়িক বিভিন্ন পন্ডিতদের সহযোগিতায় ৩৫ টি খন্ডে বিশ্বকোষ সংকলন করে গির্জা, চার্চ ও প্রচলিত সমাজের দুর্নীতি তুলে ধরেন৷
ঙ) : ফিজিয়ক্রাটস : কুইসনের নেতৃত্বে ফিজিওক্রাটস নামে এক অর্থনীতিবিদদের আবির্ভাব ঘটে যারা উদার বাণিজ্য নীতির সমর্থক ছিলেন৷
এইভাবে দার্শনিকরা তাদের রচনাবলির মাধ্যমে বিপ্লবের পথ প্রস্তুত করেন ৷ আমাদের বর্তমানে যাহাকে সুশীল সমাজ না বিদ্দজন কি যেন বলে লোকে , তেনারা tiktok প্রচারক ও চিনি পছন্দ করেন ডায়াবেটিস হলে হবে ,ইন্সুলিন নেবো মনোভাবে আচ্ছন্ন ।
আর যুগে যুগে সমকালীন মূর্খের দল বা বিদ্যানের দল যেটা ঠিক মনে করলেন সেই দিকেই ভিড়ে গেলেন । জনগণের ভালো নেতার ভালোই চাপা পরে গেলো ।
আসলে মানুষের গড়পড়তা কোনো আদর্শ নেই, অন্ন বস্ত্র বাসস্থান ছাড়া । খাও দাও ,বগল বাজাও এই করে নাচতে নাচতে চিতা বা কবরে শুয়ে পর । একটা কোকিলও গান গেয়ে সকলের মনোরঞ্জন করে, আর বেশির ভাগ মানুষ যা করে নিজের জন্য (কিছু বেকুবের কথা আলাদা , যারা সমাজের ভালো করার রোগে আক্রান্ত )।
আমাদের সমাজ কিন্তু ফরাসি নয় আমাদের মূলত ধান্দাবাজের সমাজ , ধর্মের নামে ,জাতের নামে ,প্রদেশের নামে কিছু করে খাওয়ার সমাজ ।
দুর্নীতি করে গাড়ি চড়লে সেটা অপমানের নয় , বরং ক্ষোভের কারণ আমি গাঁড় মারছি আর ও বেশ করে খাচ্ছে , আমাকে সুযোগ দিলে আমিও করে খাবো ।
যদি একমত হন আপনি সেই বিরল প্রাণী যে আত্মমর্যাদা বলে একটা শব্দ জানেন, না হলে জীও পাগলা নেক্সট রং বদলে লেগে পড়ুন কামাতে ।
খুব বিপদ সামনে ১৩০ কোটির বেশির ভাগ ই নেকড়ে আর হায়না , দেশটাকে ছিড়ে খাবে বলে তৈরী । খুব সামান্য কিছুজন একা কুম্ভের মতো এখনো লড়াই করার স্বপ্ন দেখে চলেছে , এবং সব রঙের দলেই কম বেশি কুম্ভ কিছু আছে।
তাই ফ্রান্স যেমন বলেছিলো হারামি রাজা আর খানকি মাগীর সরকার দরকার নেই , আজ আওয়াজ কি এখানেও উঠছে ?
কিন্তু আসবে কে? সেও তো জারজ দলত্যাগী আদর্শহীন এক সুযোগ সন্ধানী । ইতিহাসে ফ্রান্স শতাব্দী পার করে, নতুন এক দেশ । আর আপনি ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে ভাবুন ,সত্যি কে বলছে ? আগে নিজে আর পরিবার কে সত্যি বলতে ও শুনতে শেখান কারণ, পরিবার থেকে সমাজ আর সমাজ থেকে দেশ তৈরী হয় ।
অশিক্ষিত জানোয়ারদের হাতে দেশ ছেড়ে দিয়ে হা হুতাশ বন্ধ করুন । নিজের পরিবারে সৎ দেশপ্রেমী তৈরী করুন । যে আগামীদিনে দেবে নতুন নেতা ,মন্ত্রী ,পুলিশ ,ডাক্তার, শিক্ষক ও আদর্শ বাবা মা ,কারণ আমড়া গাছে আম হয় না ।
আর নিজে সৎ না হলে রাজা রক্তচোষা না রানী খানকি মাগি, এসব বলা বন্ধ করুন। ইলেকট্রিক বিল এসেছে দশ গুন্ লাইনে দাঁড়িয়ে দিয়ে আসুন ।,