মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে অবিলম্বে উপাচার্য নিয়োগের দাবীতে সোচ্চার জেলাবাসী

0
800
Hazarduari - Murshidabadjpg
Hazarduari - Murshidabadjpg
0 0
Azadi Ka Amrit Mahoutsav

InterServer Web Hosting and VPS
Read Time:19 Minute, 9 Second

মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে অবিলম্বে উপাচার্য নিয়োগের দাবীতে সোচ্চার জেলাবাসী

ফারুক আহমেদ 

মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় চালু করতে অবিলম্বে সার্চ কমিটির মাধ্যমে উপাচার্য নিয়োগ করতে হবে। কে এন কলেজ নয় রেজিনগর শিল্প তালুকের জমিতে এবং লালবাগে সরকারি জায়গায় গড়ে তোলা হোক মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ মুর্শিদাবাদ জেলা সফর করে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, এবছর নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকেই মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠন শুরু হবে এবং ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হবে। কিন্তু আজও সার্চ কমিটির মাধ্যমে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়নি। মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় চালু করতে সরকার সঠিক উদ্যোগ না নিলে ২০২১ বিধানসভা ভোটে ফল ভুগতে হবে। মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও বিল পাশ করার জন্য মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েও হতাশ হয়েছেন জেলাবাসী।

লোকসভা ২০১৯ নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ জেলায় তৃণমূল কংগ্রেস দুটো আসনে জয় পেয়েছে মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েই।

দক্ষিন দিনাজপুর, আলিপুরদুয়ার, মুর্শিদাবাদ ও দার্জিলিং-এ চারটে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলতে উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। কয়েক বছর আগে বিধানসভায় এই কথা জানিয়েছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ড. পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বাজেট বক্তব্যে তিনি জানিয়েছিলেন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ্যতা অনুযায়ী শিক্ষাকর্মী নিয়োগ করা হবে। শিক্ষা ও গবেষণার গূণগত মান ও উচ্চশিক্ষার উৎকর্ষ স্থাপনে সরকার বদ্ধপরিকর। প্রায় এক দশকের দাবীকে স্বীকৃতি দেওয়া হল এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে। পিছিয়ে থাকা মানুষদের যোগ্য করে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়– মহাত্মা গান্ধীও এই ধারণা পোষন করতেন। অনগ্রসর, অবহেলিত, প্রান্তিক, সংখ্যালঘু মানুষদের অগ্রগতিতে এই কারণে নিতে হয় কিছু প্রকল্প, পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ। এবং তা রূপ দিতে হয় বাস্তবে। এই চারটে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষণা উন্নয়নের বাতাবরণে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছিল। অন্য তিনটে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ চলছে পুরোদমে কিন্তু মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় চালু করতে সরকার সঠিক উদ্যোগ চোখেই পড়ছে না।

মুর্শিদাবাদ রাজ্যের সর্বাধিক মুসলিম প্রধান এলাকা। শিক্ষায় বহু বছর ধরে এই অঞ্চল অবহেলিত। নতুন সরকার আসার পর উচ্চশিক্ষা প্রসারে নানা উন্নয়নমূলক কর্মসূচী হয়েছে এ পর্যন্ত। মুর্শিদাবাদে আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি শাখা থাকলেও শিক্ষার প্রয়োজনের তুলনায় তা একেবারেই যথেষ্ট ছিল না। কিছু কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থাকলেও কোন স্বয়ং সম্পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় মুর্শিদাবাদে নেই। সংখ্যালঘু উন্নয়নে সারা দেশ জুড়ে নানা রকম বাধা। মৌলবাদী নানা সংগঠন অনগ্রসর উন্নয়নে নানা বাধা দিলেও আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এর বিরুদ্ধে বরাবর সরব হয়েছেন। তিনি বরাবর অনগ্রসর উন্নয়নের পক্ষেই সামিল হয়েছেন।

নভেম্বর ২৫, ২০১৫ শহীদ মিনার কলকাতায় অনুষ্ঠিত একটি বিশাল সমাবেশে সংখ্যালঘু উন্নয়ণকামী নেতা সিদ্দীকুল্লা চৌধুরীর উপস্থিতিতে রিসার্চ জার্নাল ‘উদার আকাশ’ এর সম্পাদক হিসেবে মৌখিক ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে মুর্শিদাবাদের জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জোরালো আন্তরিক দাবী জানিয়েছিলাম। 

ওইদিন আমার সম্পাদিত ‘উদার আকাশ’ পত্রিকার বিশেষ সংখ্যা “উদার ভারত নির্মাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ” সংখ্যাটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর হাতে তুলেও দিয়েছিলাম। সমসাময়িক দৈনিক বিভিন্ন সংবাদপত্রে তার উল্লেখ আছে। 

এছাড়াও ১৭ ডিসেম্বর ২০১৫ ড. মধু মিত্র, ড. ইন্দ্রদীপ ঘোষ এবং আমি ফারুক আহমেদ স্বাক্ষর সমন্বিত দাবী পেশ করেছিলাম, এই মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবীতে। 

কন্যাশ্রীর সাফল্য, পাশাপাশি

মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীর যুগান্তকারী পদক্ষেপ এর ফলেই বাংলাতে শিক্ষার প্রসার ঘটছে দ্রুত। তার সঙ্গে এই ঘোষণা নিঃসন্দেহে সাধুবাদযোগ্য। ভবিষ্যত মহীরুহের অঙ্কুর, – এই ঘোষণা। 

মুখ্যমন্ত্রীর এই উন্নয়ন যজ্ঞে নিজেকে সামিল করতে পেরে ধন্য ও ভবিষ্যতেও উন্নয়নমূলক প্রকল্পে নিজে ও ‘উদার আকাশ’ পত্রিকাকে সামিল করতে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকবো।

মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রী, পশ্চিমবঙ্গ, সমীপেষু– মুর্শিদাবাদে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ : একটি প্রস্তাবনা নিয়ে আবেদনর কিছু অংশ তুলে দিলাম।

‘বর্তমান সরকারের আমলে যে দ্রুতগতিতে প্রায় প্রতিটি জেলাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা এযাবৎ আমাদের ভাবনাতেও ছিল না। ফলত, মুর্শিদাবাদ জেলাবাসীর মনে লালিত দীর্ঘদিনের পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বাসনা আজ আর স্বপ্ন মনে হচ্ছে না। তথাকথিত আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনের মাধ্যমে এই জেলার মানুষের উচ্চশিক্ষার আকাঙ্খা পূরন হবে না। এখানে পিছিয়ে পড়া পরিবার থেকে যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী কলেজে পড়তে আসেন-তারা কেবলমাত্র জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় না থাকার কারণে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। অতএব, সেই পিছিয়ে পড়া মানুষের প্রত্যাশা আকাঙ্খা পুরনের জন্যই এই জেলাতে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি।’

‘প্রসঙ্গত আপনাকে জানাই, ইতিমধ্যেই ওয়েবকুপার পক্ষ থেকে গত ৪ অক্টোবর ২০১৫ আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে সফলভাবে পথ সভা সংগঠিত করেছি। সেখানে জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও গত ৯ নভেম্বর ২০১৫ বহরমপুর রবীন্দ্রসদনে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মাননীয় মান্নান হোসেনের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমর্থনে সফল কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়।’

‘অতএব পিছিয়ে পড়া জেলার তকমা ঝেড়ে ফেলে উন্নত মুর্শিদাবাদ ও উন্নত বাংলা গড়ার প্রয়োজনেই এই জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। মাননীয়া জননেত্রীর নতুন বাংলা-সোনার বাংলা নির্মাণের অক্লান্ত প্রয়াসে আজ বাংলা ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। বাংলাকে বিশ্ব বাংলা গড়ার যে উদ্যোগ শুরু হয়েছে আপনার অভিভাবকত্বে ও সুযোগ্য নেতৃত্বে মুর্শিদাবাদ জেলাও তার শরিক হয়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক স্বপ্নপূরন মাননীয়া জননেত্রীর মাধ্যমেই বাস্তবায়িত হবে এমনই আমাদের সকলের প্রত্যাশা। এবিষয়ে আপনার সনির্বন্ধন বিবেচনা ও উদ্যোগ গ্রহণের প্রত্যাশায় রইলাম।’

উদার আকাশ পত্রিকা ও প্রকাশনের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাহিত্যের আসর আহ্বান করা হয়েছিল ১৪ অক্টোবর, ২০১৯ সোমবার, দুপুর ২ টোর সময়ে মুর্শিদাবাদ জেলা সাংবাদিক সংঘ, বহরমপুরে।

আলোচনার বিষয় ছিল মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় দ্রুত গড়ে তুলতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রধান অতিথি ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ ও দৈনিক পুবের কলম পত্রিকার সম্পাদক আহমেদ হাসান ইমরান, প্রাক্তন সাংসদ মইনুল হাসান। 

মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে রাজ্য সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েও জেলাবাসীর মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে-পঠনপাঠন শুরু করতে এত দেরি হচ্ছে কেন? 

মুর্শিদাবাদে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে সরকারি উদ্যোগ আর চোখে পড়েছে না কেন প্রশ্ন? বাস্তবিক আজও মুর্শিদাবাদ জেলায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ শুরু হয়নি এবং উদ্বোধনও হয়নি। মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলতে সরকারি উদ্যোগে ভাঁটা দেখে জেলাবাসী হতাশ হয়েছেন।

দ্রুত গতিতে সরকারি উদ্যোগে মুর্শিদাবাদ জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে হবে এই দাবীতে জেলাবাসী সোচ্চার হলেন। 

সবাই জানেন আরও কয়েটি জেলায় যেমন পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হল।

মুর্শিদাবাদ জেলা রাজ্যের সর্বাধিক মুসলিম প্রধান এলাকা। 

মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে রাজ্যসরকার উদ্যোগ নিতে এ-তো দেরি হচ্ছে কেন উঠছে প্রশ্ন? 

পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় “মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়” গড়ার জন্য বিল পাশ হয়েছে সেই উপলক্ষে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত করে গত বছর ৩১.০৭.২০১৮ রবিবার বহরমপুরে এক অনুষ্ঠন করে ধন্যবাদ দেওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল।

 
এই বিলের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে মুর্শিদাবাদ জেলাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবি পূরণ হয়েছে।

রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানানোর উদ্দেশ্যে পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক সমিতি (ওয়েবকুপা) দু বছর আগে রবিবার ৩০.০৯.২০১৮ “মুর্শিদাবাদ জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা উদযাপন” কর্মসূচি পালন করেছিল। 

ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপক্ষে ওয়েবকুপা মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটি বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করা হয়েছিল। 

বিগত ৯ নভেম্বর ২০১৫ এ বিষয়ে ওয়েবকুপার পরিচালনায় বহরমপুর রবীন্দ্র সদনে সফল নাগরিক কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এছাড়াও পথসভা সংগঠিত হয়েছিল। 

বিগত ১৭.১২.২০১৫ ওয়েবকুপার জেলা যুগ্ম সম্পাদক ড. মধু মিত্র, ড. ইন্দ্রদীপ ঘোষ এবং উদার আকাশ পত্রিকার সম্পাদক ফারুক আহমেদ একটি ডিপিআর মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর নিকট পেশ করেন। ঐ ডিপিআরটি প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ে একটি গবেষণামূলক প্রস্তাব হিসেবে এযাবৎ কালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দলিল। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই ডিপিআর টিকে মুর্শিদাবাদ জেলাতে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা ও বিল তৈরিতে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে। এছাড়াও গত ২০১৫ সাল থেকে ওয়েবকুপা মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটি একাধিকবার মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর নিকট বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে গণ স্বাক্ষরসহ লিখিত দাবিপত্র পেশ করেছে। যাইহোক, বিধানসভায় “মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় বিল” পাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবি পূরণ হয়েছে। 

এই বিল পাশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষণাকে মর্যাদা দেওয়ার কারণেই ওয়েবকুপা গত বছর  ৩০.০৯.২০১৮ তারিখের উদযাপন কর্মসূচি নিয়েছিল।

বহরমপুরের গোরাবাজার ঈশ্বরচন্দ্র ইনিস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে এই বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন  মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুব্রত সাহা, বিশিষ্ট লেখক ও উদার আকাশ পত্রিকার সম্পাদক তথা মু্র্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলনকারী হিসেবে আমি ফারুক আহমেদ, মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান মহ. সোহরাব, বিশিষ্ট লোকসংস্কৃতিবিদ ড. শক্তিনাথ ঝা, জেলার বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী লেখক, সাংবাদিক ও অধ্যাপক এবং শিক্ষকেরা।

অনুষ্ঠানের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মধু মিত্র জানিয়েছিলেন, এই অনুষ্ঠানে মুর্শিদাবাদ জেলার চার শতাধিক অধ্যাপক-শিক্ষিক-লেখক- বুদ্ধিজীবী ও অন্যান্য সমাজের বিশিষ্টজনেরা অংশগ্রহণ করেছিল। 

অধ্যাপক ড. মধু মিত্র ও ফারুক আহমেদ জানিয়েছিলেন, অচিরেই মুর্শিদাবাদ জেলাতে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে একটি উন্নত মানের পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠতে চলেছে। এজন্য তিনি জেলাবাসীর পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানান। 

এসআইও ইসলামি ছাত্র সংগঠনও মুর্শিদাবাদ জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার জন্য আন্দোলন করেছিল তাই তাদেরকে অফুরন্ত ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন ফারুক আহমেদ। এই এসআইও ইসলামি ছাত্র সংগঠন মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার জন্য বিধানসভাতে গিয়ে উচ্চ শিক্ষামন্ত্রীকে তাঁরা একটা স্মারকলিপিও তুলে দিয়েছিল। 

সকলেই অবগত আছেন আমি উদার আকাশ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে বিগত ২০০৭ সাল থেকেই জোরদার লেখালিখি করেছি এবং সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলেছি মুর্শিদাবাদ জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার জন্য। 

এছাড়াও মুর্শিদাবাদ জেলার বহু মানুষ ও সংগঠন  আন্দোলন করেছিল শিক্ষা  প্রসারে মুর্শিদাবাদ জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার জন্য। বহু দিন পর বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার জন্য বিল পাশ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

তবে আজও কাজ শুরু হয়নি। মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলতে দ্রুত কাজ শুরু করুক রাজ্যসরকার। এই দাবীও তোলা হয় বর্ধিত সভা থেকে।

সূত্র: মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রী, পশ্চিমবঙ্গ, সমীপেষু– মুর্শিদাবাদে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ: একটি প্রস্তাবনা, প্রস্তাবক-ড. মধু মিত্র, সহকারী অধ্যাপক, ডোমকল কলেজ, মুর্শিদাবাদ, ড. ইন্দ্রদীপ ঘোষ, সহকারী অধ্যাপক, ইউ সি টি সি, মুর্শিদাবাদ, এবং ফারুক আহমেদ, সম্পাদক উদার আকাশ, স্থান: বহরমপুর, তারিখ: ১৭-১২-২০১৫

About Post Author

Editor Desk

Antara Tripathy M.Sc., B.Ed. by qualification and bring 15 years of media reporting experience.. Coverred many illustarted events like, G20, ICC,MCCI,British High Commission, Bangladesh etc. She took over from the founder Editor of IBG NEWS Suman Munshi (15/Mar/2012- 09/Aug/2018 and October 2020 to 13 June 2023).
Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Advertisements

USD





LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here