খুদার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় আরামবাগ টিভি যেন ঝলসানো রুটি ?
আরাম হারাম হ্যায় – আরামবাগ আরামে আছে ? সোনার বাংলা জ্বলজ্বল করে জ্বলছে ।
কোথায় যেন পড়েছিলাম রাজার এক বাঁদর ছিল , যে রাজা কে ঘুমের মধ্যে তরোয়াল হাতে পাহারা দিতো । একদিন মাছি তাড়াতে গিয়ে রাজার গলায় কোপ মেরে বসলো । রাজার আত্মা কেঁদে ভগবানের কাছে নালিশ করলো “স্যার বাঁদর আমার প্রাণ নিয়ে নিলো । ভগবান হেঁসে বললেন মূর্খের হাতে ক্ষমতা দিলে বাবা প্রাণ তো যাবেই । সস্তার নাটকে আপ্লুত হলে, মেঘনাথ বধ আর মগজে ঢুকবে না , এতো জানা কথা ।
খুদার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় আরামবাগ টিভি যেন ঝলসানো রুটি ?
ও সফিকুল ভাই সালাম আলাইকুম । কেমন আছেন ভাই ? ২ টাকা কিলো চাল ভালো না ,সরকারি মেহমান খানার ভাত, তাই নিয়ে আবার কোনো প্রতিবেদন করবেন না যেন, ফ্রি খাওয়া দাওয়া বেড়ে যেতে পারে ।
এতো তাড়াতাড়ি সন্ময়দার কথা ভুলে গেলেন ? ওনার ও বড় বাড় বেড়েছিল, কি এমন হনু যে মানমান্য যুগ শ্রেষ্ঠ বাঙালি কে অপমান করেন? হলেননি বা উচ্চ শিক্ষিত সাংবাদিক , দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতায় বোঝেনি সাদা সত্যিকথা বলা পাপ ? কি সাহস ছোট ছোট ছেলে মেয়ে মামার বাড়ির থুড়ি পিসির বাড়ির আদর খাচ্ছিলো , তাতেও আপত্তি । সন্ময় তোর বাপের কিরে ? বাংলা নামের দেশটা থুড়ি রাজ্যটা ২০১১ সালে তৈরী হয়েছে উন্নয়নের সাথে পাল্লা দিতে পারবে না বুঝে টাটা কেটে পড়লো আর আপনি গেছেন একা উন্নয়ন আটকাতে, লজ্জা করে না, রাজ্য বিরোধী কাজ করতে ? চক্রান্ত করতে অক্লান্ত উন্নয়নের গায়ে কালী দিতে।
৪০০ বছরের উন্নয়ন ১০ বছরে হয়ে গেছে আর বেশি বেশি কথা ওনার । যান গিয়ে দেখুন, আমাদের গ্রামের স্কুল গুলোতে জগদীশ বোস , প্রফুল্ল চন্দ্র, বিধান রায় প্রসব করছে রোজ আর তাদের পড়াচ্ছেন সায়ং নিউটন, আইনস্টাইন , আর্যভট্ট ,রবীন্দ্রনাথ ও বিদ্যাসাগরের মতো অনুপ্রাণিত শিক্ষক ।
সায়ং ট্রাম্প আল্হাদে এখানে পরামর্শ করতে আস্তে পারেন এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যায় না । ইংল্যান্ডের রানী কি করে জমি দখল করতে হয় শিখতে চাইতে পারেন , যদি আবার ব্রিটিশ সাম্রাজ্য গড়া যায় । এমনকি নতুন ইমপোর্টেড আকবরের নয়া মোগল যুগ এলো বলে ।
এগিয়ে বাংলা , বাংলা আজ যা ভাবছে ভারত তা আগামী কাল ভাবতেও পারে, নাও পারে , এইতো সেদিন বাংলার উন্নয়নের রকেট এন্ড্রোমেডা গ্যালাক্সি পার করে গেলো , আপনারা দেখতে পান না । বাংলার ঘরে ঘরে কত উচ্চ শিক্ষিত ছেলে ছিল , যারা ভুল করে ভিন রাজ্যে চলে গেছিলো চক্রান্তের কারণে । ঘরের ছেলেরা সব ঘরে চলে এসেছে , আমাদের ফুড প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রি যা উন্নয়ন করেছে চিন্তার বাইরে ,চপ মুড়ির পর এবার ফুচকা ও আলুকাবলি এক্সপোর্ট হবে ? চীন পর্যন্ত করোনা মুক্ত ফুচকা টেকনোলজি চাইলো বলে । প্রসাধন থুড়ি প্রশাসন এতো মজবুত যে করোনার থাবাও নবান্ন কে জিজ্ঞাসা করে এ রাজ্যে আসে ।
সাধারণ একটা ঝড়ে কিছু চাল চুলো হীন লোকের চাল উড়ে গেছে , কি এমন হয়েছে । গরমকাল খোলা আকাশে শোয়ার জন্য আলাদা করে মাঠে যেতে হবে না , ঘরেই খোলা আকাশ । প্রধানমন্ত্রী আর তার সরকার যৎসামান্য খুচরো কিছু দিয়েছিলো এই মাথা পিছু ২০০০০ টাকা , হারিয়ে যাবে বলে ভাইয়েরা নিজেদের দায়িত্বে রেখেছে বলে, কাটমানি ,কাটমানি বলে কি চিৎকার না করছে সকলে !! অসভ্য লোকজন ঘর ই উড়ে গেছে , টাকা কোথায় রাখবি? অরে বাবা বাচ্ছারা বায়না করলেই জিনিস দিতে নেই , অভ্যাস খারাপ হয় । তাইতো সোনার টুকরো কর্মীরা জনগণের টাকা নিজ দায়িত্বে সামলাচ্ছে । আর এই নিয়ে সন্ময় , সফিকুল তোমরা শুধু শুধু ঝামেলা করছো।
কি বললেন মত প্রকাশের বাক স্বাধীনতা ? বাবা সেটা তো ভারতের সংবিধানে লেখা , এখানে ওটাই চলে তবে দিদি কে বলে করতে হয় । আপত্তি আছে ? বেশ তো দিদি কে বোলো আর লোকাল ভাইদের হাতে শুধরে নাও নিজে কে ।
জয় গণতন্ত্রের জয় , জয় মা দূর্গা , জয় কালী (শুধু কালকাত্তায়ালী নয়), জয় মা বিষহরী (সত্যি বিষ কমিয়ে দে মা ), আল্লা মেঘ দে ,পানি দে , পরিবর্তন দে ? আর বলবো না । এবার যদি কেউ কে ঈশ্বর পাঠান কাঁধের ওপর যেন মগজ টাও দেন । ২ টাকার চাল না দিলেও হবে ,স্কুলে যেন আবার লেখা পড়া হয় । অফিস ,আদালতে ,পঞ্চায়েতে যেন মানুষ ই কাজ করে , মানুষ ই ভোট দেয় আর অনুপ্রাণিত হওয়ার দরকার নেই , বিনা অনুপ্রাণিত দেশভক্ত মানুষ কাজ করুন ।
গন্ডার আমাদের উত্তরবঙ্গে দেখা যায়, কিন্তু নিজেদের গায়ের চামড়া টা দয়াকরে গন্ডারের করে ফেলবেন না । এই অন্যায়ের তীব্র প্রতিবাদ হোক , প্রতিবাদের ভাষা হারিয়ে ফেলা অন্যায় ।
কি বললেন ওনারা মন্ত্রী আমরা গরিব সাধারণ মানুষ ? অর্বাচীনের মতো সব প্রশ্ন করছেন আপনারা, একজন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বা মূখ্যমন্ত্রী কেউ ভগবান নন । বোতাম টিপেছি বলে মন্ত্রী, বেয়াদপি দেখলে এক লাথি মেরে নামাতেও দেরি করবে না জনতা । সেটাই গণতন্ত্র আয় ভাই লুটে পুঁটে খাইর দুনিয়া নয় ।
মহামান্য আদালতের কাছে আবেদন বিচার ব্যাবস্থার ওপর আস্থা যাতে না হারায় , তার জন্য দাদা দিদি , মাসি পিসি দের প্রভাব মুক্ত হয়ে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করুন । বিচার মানুষের হাতে তুলে নেয়ার অবস্থা হতে দেবেন না ।
সোশ্যাল মিডিয়াতে আমাদের এক বন্ধু সাংবাদিক সৌভিক কি বলছেন শুনুন ।
“আরামবাগ টিভি নামে ইউটিউব চ্যানেলের কর্তা সফিকুল ইসলাম ও তার সহযোগী সাংবাদিক সুরজ খান জামিন পেলেন না । আজ এদেরকে আদালতে তোলা হলে সরকারি আইনজীবী আরও সাতদিনের জন্য দুজন অভিযুক্তকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন করেন । সেই আবেদনের বিরোধিতা করেন সফিকুলের আইনজীবী । দুই পক্ষের সওয়াল জবাবের পর আদালত আরও তিন দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠায় সফিকুলদের ।
সম্প্রতি বাংলার রাজনীতিতে সফিকুল ইসলাম গ্রেফতার হওয়ার পর আলোড়ন পড়ে যায় । রাজ্যের প্রভাবশালী বুদ্ধিজীবী মহল থেকেও সফিকুলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করা হয় । সোশ্যাল মিডিয়ায় মমতা সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ আছড়ে পড়ে । তা সত্ত্বে আজ সফিকুলদের জামিন না হওয়ায় বাংলার রাজনীতি এর প্রভাব চলতেই থাকবে । সফিকুলরা জেলে থাকলে মমতার ভাবমূর্তিতেই আঘাত পড়বে সবচেয়ে বেশি । এটা যদি নবান্ন বুঝতে না পারে তাহলে আগামী দিনে বড় খেসারত দিতে হবে শাসক দলকেই । কারণ সফিকুল জেলে থাকলে লাভ হবে বিরোধীদের বিশেষ করে বিজেপির ।
সোমবারের আনন্দবাজার পত্রিকা আরামবাগের আরান্ডী -১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সোহরাব হোসেনকে নিয়ে যে খবর প্রকাশ করেছে এটা আজ থেকে কয়েক সপ্তাহ আগে সফিকুল করেছিল । আজ আনন্দবাজারে এই খবর প্রকাশিত হওয়ায় সফিকুলের খবরের বৈধতা পেয়ে গেল । ফলে আরামবাগ জুড়ে বিরোধী বা বিজেপির আধিপত্য অনেকটাই বাড়ল । শাসক দলের আত্মঘাতী সিদ্ধান্তই আগামী দিনে বুমোরং হতে পারে ?
“
বৃত্ত কি সম্পূর্ণ হচ্ছে ? ১৯৮৪ সালের যাদবপুরের মমতা ব্যানার্জী থেকে , ১৯৯৮ এর মমতা তারপর ২০১১ তে দিদি, এখন আবার তিনি মমতা ব্যানার্জী । সামনে যে ২০২১ আসন্ন । বিজেপিকে ওয়াক ওভার দিচ্ছেন কেন ? নাকি টেরর এন্ড কাউন্টার টেরর এর ব্যালান্স করে ক্ষমতা ধরে রাখার মরিয়া চেষ্টা । টিএমসি আজ ২০১১ এর বামফ্রন্ট আর তাই সমিক্ষা যাই বলুক দিদি মাটি কিন্তু আর শক্ত নেই ।
অনুগত মিডিয়া আর চামচাদের প্রচার দিয়ে বামফ্রন্ট পারেনি , হিটলার ও পারেনি , কিন্তু বিরুদ্ধ প্রচার সত্ত্বেও এই বাংলারই এক দামাল ছেলে আজ ও সকলের চোখের মনি । কে জানেন? নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস , নেতাজি তো দূরের কথা তাঁর জুতোর যাগ্য নন কেউ আপনারা , না সরকারি না বিরোধী কেউ ।
সন্ময়দা বা সফিকুলের অপমানের বদলা যদি মানুষ নেয় , কেউ পালানোর পথ পাবেন না । দয়া করে শুধরে যান ।