উদার আকাশ পত্রিকার উদ্যোগে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উৎসব সফল করতে কবিতা উৎসব কল্যাণীর বি-১৫ লেক পল্লীর সাংস্কৃতিক মঞ্চে
বিশেষ প্রতিবেদক
উদার আকাশ পত্রিকার উদ্যোগে ভারত-বাংলাদেশের কবিরা কবিতা পড়বেন আজ দুপুর থেকে কল্যাণীর বি-১৫, লেক পল্লী সর্বজনীন দুর্গা উৎসব সমিতির সাংস্কৃতিক মঞ্চে।
ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী-উৎসব – ২০১৯
প্রস্তুতি পর্বের সভার পর ৯ অক্টোবর ২০১৯ কল্যাণীতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে উদার আকাশ পত্রিকার উদ্যোগে কবিতা উৎসব। মূল উদ্দেশ্য হল উদার আকাশ পত্রিকার উদ্যোগে ২১ ডিসেম্বর ২০১৯ ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী উৎসব সফল করা।
বিভিন্ন জেলার বিশিষ্ট কবি, সাহিত্যিক, ছড়াকারা অংশ নেবেন কবিতা উৎসবে এবং মৈত্রী উৎসবে।
‘উদার আকাশ’-এর আয়োজনে ‘ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী-উৎসব — ২০১৯’-এর প্রস্তুতি পর্বের সভা অনুষ্ঠিত হল পত্রিকার সম্পাদক ফারুক আহমেদ-এর আহ্বানে ৬ অক্টোবর ২০১৯ কলকাতায়।
কলকাতায় এবছর ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী উৎসব অনুষ্ঠিত হবার সম্ভাব্য তারিখ নির্দ্ধারিত হয়েছে ২১ ডিসেম্বর ২০১৯।
উৎসবে দুই বাংলার একঝাঁক স্বনামধন্য কবি-সাহিত্যিক-শিল্পী অংশগ্রহণ করবেন। এবার দুই বাংলার দু-জন প্রথিতযশা সাহিত্যিককে গৌরকিশোর ঘোষ স্মৃতি পুরস্কার প্রদান করা হবে উদার আকাশ পত্রিকার পক্ষ থেকে। এছাড়াও সম্মাননা জ্ঞাপন করা হবে দুই বাংলার বেশ কয়েকজন কবি ও সাহিত্যিককে।
মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে এছাড়াও উৎসবে থাকবে কবিদের স্বকণ্ঠে কবিতাপাঠ, আবৃত্তি, নৃত্য, সংগীত ও আলোচনা সভা। বিস্তারিত অনুষ্ঠান-সূচি খুব শীঘ্রই প্রকাশ পাবে।
দুই বাংলার লেখকদের লেখা নিয়ে প্রকাশিত হবে উদার আকাশ পত্রিকার বিশেষ মৈত্রী সংখ্যা।
প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন ওপার বাংলার বিশিষ্ট কবি ও শিল্পী ড. পাবলো শাহি ও অধ্যাপিকা ফিরোজা বেগম।
এপার বাংলা থেকে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কবি ও ছড়াকার আনসার উল হক, কবি লালমিয়া মোল্লা, অধ্যাপক ও লেখক মাসুদ রানা, গবেষক সারমিন সুলতানা এবং অবশ্যই উদার আকাশ পত্রিকার সম্পাদক ফারুক আহমেদ।
আড্ডার মেজাজেই আলোচনা শেষে শুরু হয় মনোজ্ঞ এক কবিতা পাঠের আসর।
যখন কবিতা পাঠ শেষ হয় তখন দুপুরের খাবার সময় কখন পেরিয়ে গেছে কেউই টের পায়নি। দুপুরের খাবার টেবিলে ড. পাবলো শাহি একটি বিষয়ের উপর বিশেষ আলোকপাত করেন।
প্রাথমিক পর্বের এই আলোচনা যথেষ্ট ফলপ্রসূ হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী উৎসবের চূড়ান্ত অনুষ্ঠান সূচি খুব শীঘ্রই প্রকাশিত হবে।
রবীন্দ্র সদনে ভারতের বৃহত্তম কবিতা উৎসব হয় সরকারি উদ্যোগে প্রতিবছর। শেষ দিন শিশির মঞ্চে কবিতা পড়লেন কবি ফারুক আহমেদ, কবি গৌরশংকর বন্দ্যোপাধ্যায়, কবি অরুণ চক্রবর্তী, কবি মাধুরী সেনগুপ্ত, কবি আবদুর রব খান, কবি অয়ন চৌধুরী, কবি তাজিমুর রহমান, কবি আবদুস শুকুর খান, তমাল লাহা সহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট কবি। উপস্থিত ছিলেন কবি সুবোধ সরকার, জগন্নাথ বসু, ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়, কৃষ্ণা বসু সহ বহু বিশিষ্ট কবি ও আবৃত্তিকার।
পশ্চিমবঙ্গ কবিতা আকাদেমির উদ্যোগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর অনুপ্রেরণায় ভারতের বৃহত্তম কবিতা উৎসব ২০১৯ অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়েছিল শনিবার ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।
বাংলা ভাষার সব থেকে বড়ো কবিতা উৎসব উদ্বোধন করেছিলেন ড. সুগত বসু, অধ্যাপক, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, তিনি বর্তমানে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ।
উদ্বোধন উপলক্ষে ইতিহাসবিদ ও স্বনামধন্য অধ্যাপক ড. সুগত বসু দুর্দান্ত বক্তব্য রাখেন যা সকলকেই মুগ্ধ করে দিয়েছিল।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিশেষ অতিথির আসনে উপস্থিত ছিলেন উচ্চ শিকমন্ত্রী ড. পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, আধিকারিক পিয়ালী সেনগুপ্ত। সমগ্র অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেছিলেন কবি সুবোধ সরকার, সভাপতি পশ্চিমবঙ্গ কবিতা আকাদেমি।
কবি ও উদার আকাশ পত্রিকার সম্পাদক ফারুক আহমেদকে পশ্চিমবঙ্গ কবিতা আকাদেমির পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কবিতা উৎসবে কবিতা পাঠ করার জন্য। কবি ফারুক আহমেদ উপস্থিত হয়েছিলেন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারি উদ্যোগে আয়োজিত এই মহা কবিতা উৎসব ও সাংস্কৃতিক মিলন প্রয়াসের আয়োজনে কবিতা পাঠের জন্য কবি ফারুক আহমেদকে লিখিত আমন্ত্রণ জানিয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ কবিতা আকাদেমি-র দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়।
কবি ও সম্পাদক ফারুক আহমেদ এক বিবৃতি দিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, সরাকারি উদ্যোগে সাংস্কৃতিক উৎসবে কবিতা পাঠের জন্য আমন্ত্রণ জানানোতে তিনি মুগ্ধ হয়েছেন। তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য তিনি কৃতজ্ঞ সরকারের কাছে। তিনি জানিয়েছেন, সরকারি উদ্যোগে বৃহত্তর কবিতা উৎসব সার্বিকভাবে সফল হয়েছে।
এবছর কবিতা উৎসবে শহরের কবিদের পাশে জেলার বহু কবিকে কবিতা পাঠে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
“পাঁচটি সভাগৃহে চারদিন ধরে পাঁচ শতাধিক; অংশগ্রহণকারী–এ এক অভূতপূর্ব কবিতা উৎসব। পশ্চিমবঙ্গ কবিতা অকাদেমি ভারতবর্ষে প্রথম সরকারি কবিতা অকাদেমি। আর কোন রাজ্যে নেই।
জঙ্গল মহলের কবিরা কবিতা পড়লেন নন্দনে। পাশাপাশি বাংলায় অ্যালেন গিনসবর্গের প্রভাব নিয়ে আলোচনা হলো। ছিল বুদ্ধদেব বসুর অনুবাদ পৃথিবী, সুভাষ নীরেন সমরের পাশাপাশি রাজবংশী কবিদের কবিতা উৎযাপন।
উপচে পড়া হলগুলোতে জমিয়ে দিল বাচিক শিল্পীরা। তরুণ কবিরা যারা এবার সংখ্যাগুরু তারা আমাদের স্পর্ধার প্রতীক। ছিল বিতর্ক, একটা উদাহরণ দিই,–‘ বিবেক বাস্তবে নয়, ফেসবুকে’।
একটা মন খারাপ থেকে গেল, অনেক কবি আবৃত্তিকার সঞ্চালক আলোচক আগে অংশ নিয়েছেন, এবার তাদের কারও কারও জায়গায় নতুনদের আনা হয়েছে, হয়ত পরের বার তাঁরা আবার পড়বেন। আমিও চান্স পাইনি এবার। আমার জায়গায় একজন নবীন কবি এসেছেন। বিজয়লক্ষী বর্মণ নিজে সরে গিয়ে একজনকে সুযোগ করে দিয়েছেন, তবু তিনি রোজ আসলেন এবং শিশির মঞ্চ সামলালেন।
‘কবিতা বন্ধু’ লেখা ব্যাজ পরে তারপর হৈ হৈ করে চারটে দিন কাটিয়ে দিল। সবাই কবিতা পড়বে, এ বছর না হলে পরের বছর নাহলে পরের বছর। কবিতা অকাদেমি সবার।
নন্দন রবীন্দ্র সদন চত্বর যেভাবে কবিতাময় সেজে উঠছিল — সেটাও অভূতপূর্ব শিল্প নিদর্শন।” বলছিলেন, কবি সুবোধ সরকার।
এই মুহূর্তে গোটা পৃথিবীর কবিদের কাছে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ কবিতা আকাদেমি। ২৩ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ এই চারদিন পশ্চিমবঙ্গ কবিতা আকাদেমির উদ্যোগে মহা আয়োজনে বিশাল কবিতা উৎসব আয়োজিত হলো কলকাতার রবীন্দ্রসদনে। প্রতি বছরের মতোই এবছরও পশ্চিমবঙ্গ কবিতা আকাদেমির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় কবিতা উৎসব বিশেষ দাগ কাটলো।
কলকাতায় রবীন্দ্রসদন প্রাণঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ কবিতা আকাদেমি আয়োজিত মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় শুরু হয়েছিল কবিতা উৎসব। চারদিন পাঁচশোর বেশি নবীন, প্রবীণ কবি ও আবৃত্তিকার উপস্থিত হয়ে কবিতা পাঠ, আবৃত্তি, আলোচনাতে অংশ নিয়ে এই মহা আয়োজন সর্থক করলো।
২৬ ফেব্রুয়ারি কবিতা উৎসবের শেষ দিন বিশিষ্ট কবিদের সঙ্গে শিশির মঞ্চে সন্ধ্যায় কবিতা পড়লেন কবি ফারুক আহমেদ।
বিগত তিন বছর বহু অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ কবিতা আকাদেমির উদ্যোগে। দেশ বিদেশ থেকে বহু কবি বাংলায় এসেছেন কবিতা পাঠ করেছেন এবং কবিতা বিষয়ক সেমিনারে অংশ নিয়ে বাংলার সাহিত্য সংস্কৃতির অঙ্গণকে সমৃদ্ধশালী করছেন।
গত বছর কবিতা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছিল ৪ থেকে ৬ মার্চ। কবিতা উৎসবের শুভ সূচনায় উপস্থিত ছিলেন কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্দ্রনীল সেন, রাষ্ট্রমন্ত্রী, তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ এবং পর্যটন বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার। উজ্জ্বল উপস্থিতি ছিল বহু কবি ও সাহিত্যিকদের। উদ্বোধনের দিন কবিতার গান করে মাতিয়ে দিয়েছিলেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন বাংলা সাহিত্যের কবি ও পশ্চিমবঙ্গ কাজী নজরুল ইসলাম আকাদেমির সভামুখ্য জয় গোস্বামী।
এবছরেও কবিতা উৎসবের বিভিন্ন দিনে অকাদেমি প্রবর্তিত স্মারক আলোচনা, সম্মারক সম্মান, কবিতার গান, কীর্তন, কাব্যনাট্য পাঠ, সম্মেলক, কথাবিন্যাস, কবিতা কনসার্ট, স্ট্রিম কনসার্ট সহ আলোচনাসভা, কবিতাপাঠ এবং প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল যা সকলকেই মুগ্ধ করেছে। বলছিলেন, কবি ও সর্বভারতীয় নবচেতনার সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ।
জীবনানন্দ দাশ সম্মান, সুভাষ মুখোপাধ্যায় সম্মান, বিনয় মজুমদার সম্মান, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সম্মান, কাজী সব্যসাচী সম্মান, নীলাদ্রিশেখর বসু সম্মান, আবুল কাশেম রহিমউদ্দিন সম্মান প্রদান করা হলো ২০১৯ কবিতা উৎসবে। পুরস্কার পেলেন কবি দেবদাস আচার্য, উৎপল কুণ্ডু, অনুরাধা মহাপাত্র, মৃদুল দাশগুপ্ত, অন্তরা দাস, ঈশান চক্রবর্তী ও সেখ সাদ্দাম হোসেন।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ অবনীন্দ্র সভাঘরে সন্ধ্যা ৭ টায় কবিতা পাঠ করেন কবি তৈমুর খান। নব্বই দশকের কবি হিসেবেই তাঁর পরিচিতি । বেশকিছু কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। পেয়েছেন, কিছু সাহিত্য পুরস্কার। উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলি হল : বৃত্তের ভেতরে জল, জ্যোৎস্নায় সারারাত খেলে হিরণ্য মাছেরা, নির্বাচিত কবিতা, উন্মাদ বিকেলের জংশন, স্তব্ধতার ভেতর এক নিরুত্তর হাসি, নির্ঘুমের হ্রস্ব ধ্বনি, কাহার অদৃশ্য হাতে, ইচ্ছারা সব সহমরণে যায়, আকাঙ্ক্ষার ঘরের জানালা ইত্যাদি। কবি থাকেন বীরভূম জেলার রামপুরহাট শহরে। পেশায় একজন শিক্ষক। কবিতা পাঠের ব্যাপারে কবিকে কিছু বলতে বললে বললেন, সরকারিভাবে কোনও অনুষ্ঠানে এর আগে আমি ডাক পাইনি। এই প্রথমবার এলাম। তবুও খুশি। কবি হিসেবে একটু উপেক্ষা না থাকলে কি হয়! উদ্যোক্তাদের সকলকেই আমার আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
গত বছর কবিতা উৎসবের শেষ দিন ৬ মার্চ ২০১৮ বিকাল পাঁচটার সময় রবীন্দ্রসদন প্রাঙ্গণে কবিতা কর্নারে কবিতা পাঠ করেছিলেন কবি ও উদার আকাশ পত্রিকা-প্রকাশনের সম্পাদক ফারুক আহমেদ।
কবিতা পাঠের পর প্রত্যেক কবিকে অর্থ মূল্য, ব্যাগ ও স্মারকলিপি দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছিল। এবছরেও কবিতা পাঠের পর প্রত্যেক কবিকে অর্থ মূল্য ও স্মারকলিপি, ব্যাগ, টিফিন ও জল দিয়ে সম্মানিত করা হয়।