নারী তুমি আমার যৌন খাদ্য – কিসের নারী স্বাধীনতা? কিসের নিরাপত্তা ?
মিস ইন্ডিয়ার গাড়ী আক্রমণ এই বিষয়টা নিয়ে অহেতুক জল ঘোলা হচ্ছে !!
একদল ভদ্র সন্তান মাঝ রাতে লেজ বিশিষ্টদের লজ্জা দিতে পারে এ আর এমন কি কথা । সেই কবে বানতলা , কামদুনি ইত্যাদি করেছি আমরা নিজেদের পুরুষ প্রমান করার জন্য আর এতো শুধু “একটুকু ছোঁয়া লাগে” ।
মহিলার সাহস তো কম নয় সবে ভাত ঘুম সেরে থানার সামনে এসে দাঁড়িয়েছি অমনি এসে “লক্ষীছেলেদের” নামে নালিশ । রাতের বেলায় একটু আমোদ প্রমোদ তো যুগ যুগ ধরে চলে আসছে । আর ড্রাইভার মানে সমাজের নিম্ন শ্রেণীর কীট সে কিনা তর্ক করছে আমাদের সাথে , বেশ করেছি দু ঘা দিয়ে ,দরকার হলে আবার দেবো ।
সারাদিন ধরে খাটাখাটুনি থাকে গরমের রাতে একটু হওয়া খাবো, দু চাকায় চড়ে চার পেয়েদের মতো আচরণ করবো, ভারতের সংবিধান সে বিষয়ে আমার জন্মসিদ্ধ অধিকার দিয়েছে ,তোমার অসুভিধা হলে আমার কি ?
আমি পুরুষ তাই খোলা চোখে তোমায় যে ভাবে ইচ্ছা সে ভাবে দেখবো, তা কুরুচিকর মনে হলে আমার কিছু করার নেই । আমার রাজনৈতিক বা ধর্মীয় পরিচয় দেখে পুলিশ ভয় পায় আর সেই পুলিশের কাছেই খুঁজতে গেছে নিরাপত্তা সে তো টেবিলের নিচে লুকোবে ।
নিরাপত্তা যদি চাও দিনের পর ঘরে থাকো , রাতের শহর তোমার নয় । রাতের শহর আমার বাপের জমিদারি যাকে যখন ইচ্ছা বিছানায় তোলার ওপেন পারমিট ।
হে বাঘা যতীন হে মাস্টার দা শীঘ্র নিজেদের এই বাংলার মানুষ ভাবা ভুলে যান, না হলে স্বর্গে আপনাদের রাজ্যের উত্তরাধিকারীদের কাজের জবাবদিহি করতে হবে ।
“Kolkata has died,long live Kolkata” .
কাল রাতে একটা স্বপ্ন দেখলাম আর সেখানে একদল স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মধ্যে নিজের ঠাকুরদাকে দেখলাম প্রশ্ন চোখে আমার দিকে তাকিয়ে ।
বেশ একটা ভাষণ দিলাম শুনছিলেন নেতাজি সুভাষ , মাস্টারদা ,বাঘা যতীন ,আবুল কালাম আজাদ এমন কি জাতির পিতা স্বয়ং, সকলের উদ্দেশ্যে সেই ভাষণ ,নিজেকে বেশ নেতা নেতা মনে হচ্ছিলো ।
“রাতের শহরে নয় দেশ জুড়ে নারী নিরাপত্তা শব্দটাই ঠিক নয়, শুধু রাতে কেন? দিনে রাতে সব সময় সকলের নিরাপত্তা চাই ।
সংখ্যালঘু ভাইদের কাছে অনুরোধ একবার ভেবে দেখুন কেন অপরাধ আর অপরাধী শতাংশের বিচারে একদিকেই বেশি হয় । আমাকে সাম্প্রদায়িক বলার আগে আত্মদর্শন করে একবার ভেবে দেখুন, কোথাও মানুষ হওয়ার শিক্ষায় কি ক্রমশ আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি ?
দাউদ বা লাদেন নয় আব্দুল কালাম বা আল বেরুনীর উত্তরাধিকার হবেন এটাই কাম্য । আগামী প্রজন্ম কে সঠিক পথ দেখানো সকলের দায়িত্ব আর সেখানে সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু কেউ দায়িত্ব এড়াতে পারেনা । দেশটা সকলের আর আসিফা বা আশাভরি যেই নির্যাতিতা হন সে লজ্জার দায় সকলের ।
শিক্ষকরা আবার বেত ধরুন আর পিটিয়ে মেরুদন্ড সোজা করুন । নাহলে এ সমাজ ধ্বংসের পথে আরো দ্রুত এগিয়ে যাবে । শুধু বাঁদর গুলোকে নয়, তাদের বাপ মা কেও পেদান ঘরের শিক্ষা ডকে তোলার জন্য। জুভেনাইল আইনে শাস্তি শুধু অভিযুক্ত কে নয়, তার পরিবারকেও দেয়া হোক, যাতে কালেকটিভ রেসপনসিবিলিটি তৈরী হয় ।
আগামী ভারত আর এই নক্কারজনক অপরাধী কার্যকলাপ মানবে না । এমনকি সারা পৃথিবীর কোনো শুভবুদ্ধি সম্পন্ন দেশ কোথাও এই ঔদ্ধত আচরণ আর মেনে নিচ্ছে না ।
ঈদের নামাজে আসার জন্য ফতোয়া দেয়া যায় আর মানুষ হওয়ার জন্য ফতোয়া দেয়া কি এতোই কঠিন । সত্যি বলা যদি সাম্প্রদায়িক মনভাব বোঝায় , তবে মেকি মিথ্যায় মোড়া অসাম্প্রদায়িক হওয়ার থেকে, সত্যি বলা দেশের জন্য অনেক জরুরী ।”
ভাষণ শেষে সকলে উঠে যাচ্ছেন দেখে বললাম কর্ত্তা চললেন কোথায় কিছু বলুন ? জাতির পিতা ফিরে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললেন, খোকা সেদিনও আমরা পারিনি আজও বলছি বেড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে ? তুমি নিজেও তো শিক্ষক আর গর্ব করে বোলো হাজার হাজার সংখ্যালঘু তোমার ছাত্র ?এই শিক্ষা দিচ্ছ বিষয় শিখছে কিন্তু মানুষ হচ্ছে কি ?”
চমকে ঘুম থেকে জেগে উঠে ভাবছি লিখে তো ফেলেছি, এবার সালমান বা শাহরুখ অথবা সেকুলার সরকার হয় ধোলাই নয় ডলাই যেকোনো একটা দেবে ।
তবে অনুরোধ যা করবেন সামনে থেকে করবেন পিঠ পিছে নয় ।শেষে একটাই কথা ছিঃ নিজেকে মানুষ বলতে শিক্ষক বলতে লজ্জা হচ্ছে ।
মায়েরা আমাকে ক্ষমা করবেন শুরুর ভাষা অশালীন লাগলে , লাতো কে ভূত বাতোসে নেহি মানতে ,তাই কড়া কথা বলতে হলো।
লেখক: রাম মোহাম্মদ সিংহ আজাদ ,স্বাধীন ভারতের সেবক
একান্ত ব্যক্তিগত মত চ্যানেল এর সাথে যুক্ত নয়