Read Time:2 Minute, 51 Second
হারিয়ে যাওয়া মাছের পদ ফিরিয়ে আনছে মৎস্য নিগম
বাংলার রান্না পৃথিবী বিখ্যাত দেশ বিদেশে বাংলা আর বাংলাদেশের মানুষ শুধু তার রান্না নিয়ে বিদেশীদের অন্তরে প্রবেশ করেছে| মা ঠাকুমা দের রেসেপি বংশানুক্রমে পরিবারের গোপন সূত্রের মত থেকেছে | সাহেব বিবি গোলামের বৌঠান বা চন্দ্রমুখী দেবদাসের বা আমার প্রেমের পারো সবাই তার মনের মানুষ কে বশ করতেন রসনা পূর্তি করে |
আগে মধ্যবিত্ত বাঙালির রোজকার পাত আলো করে থাকত কই মাছের ‘হরগৌরী’ বা চাপিলার চচ্চড়ি, কখনও আলু-পটল দিয়ে কাতলা মাছের রসার স্বাদে রঙিন হয়ে উঠত মধ্যানহভোজ।
আঠারো-উনিশ শতকের জিভে জল আনা এরম নানা মেছো রান্না বাঙালির পাতে ফিরিয়ে দিতে উদ্যোগী হল খোদ রাজ্য সরকার। বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিনেই কলকাতায় পাওয়া যাবে এমন সব মাছের পদ। এজন্য একটি দল গঠন হয়েছে, যারা এই হারিয়ে যাওয়া রান্নার পদ বিভিন্ন গ্রাম থেকে জেনে নিচ্ছে।
কাতলার রসা বা কই মাছের হরগৌরী ছাড়াও থাকছে মেথি দিয়ে মৌরলা, সজনে ডাঁটা-বেগুন-বড়ি দিয়ে রুই মাছের ঝোল, চিংড়ি দিয়ে সজনে ডাঁটা-পোস্তর চচ্চড়ি, মোচা দিয়ে চিংড়ি, চাপিলা মাছের শুক্তো, ইলিশ দিয়ে কচুর শাক। থাকছে শুঁটকি মাছের বিভিন্ন পদ, তেঁতুল দিয়ে কাঁচা মাছের টক।
প্রসঙ্গত, জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি মাছ বিক্রী শুরু করেছে নিগম, এবার রান্না করা মাছ বিক্রী শুরু হবে নতুন বছর থেকে। এজন্য নতুন অ্যাপ চালু করা হয়েছে। অ্যাপে ঠিকানা দিয়ে নির্দিষ্ট পদের অর্ডার করার তিন ঘণ্টার মধ্যেই খাবার টেবিলে এসে হাজির হবে সেই পদ। রোজ সকাল সাড়ে আটটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত অর্ডার নেওয়া হবে। রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত ডেলিভারি দেওয়া হবে। এজন্য ছটি নতুন বাইক কেনা হয়েছে।
প্রথম ধাপে বিরাটি থেকে টালিগঞ্জ পর্যন্ত পরিষেবা চালু করছে নিগম, পড়ে এই পরিধি আরও বাড়ানো হবে।
Advertisements