Read Time:3 Minute, 33 Second
বন সংরক্ষণে প্রতিবদ্ধ মা-মাটি-মানুষের সরকার
পশ্চিমবঙ্গের বনদপ্তর রাজ্যের ১১,৮৭৯ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে অরণ্য অর্থ্যাত মোট ভৌগলিক এলাকার ১৩.৩৮% দেখাশোনা করে।
২০১১-২০১৪ সালের মধ্যে এই রাজ্যের বনাঞ্চল বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বৃদ্ধির পরিমাণ ৩৮১০ বর্গকিলোমিটার অর্থাৎ ৪.২৯% যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।
২০১১-২০১৭ সালের মধ্যে বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য হলঃ-
-
২০১১-২০১৭ সালের মধ্যে এই দপ্তর অরণ্য এলাকার মধ্যে ৭২,৬৯৭ হেক্টর বনাঞ্চল বৃদ্ধি করেছে। পাশাপাশি ব্যবহারে মৃত্তিকা ও আর্দ্রতা সংরক্ষণের কাজও হয়েছে। চিরাচরিত নার্সারিগুলির প্রায় সম্পূর্ণ মজুত খমতার পরিবর্তে এই বিভাগ ২ কোটি রোপণযোগ্য চারা উৎপাদনের ক্ষমতাসম্পন্ন ‘আধুনিক নার্সারি’ নির্মাণ করেছে।
-
মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায়, ২০১১ সালের ২৭ মে থেকে ‘সবুজশ্রী’ প্রকল্প চালু হয়েছে। এই প্রকল্পে রাজ্যের প্রত্যেক নবজাতককে গাছের চারা উপহার দেওয়া হয়। এর মূল উদ্দেশ্য হল, শিশুর সাথে পরিবেশ-প্রকৃতির একটা আবেগের বন্ধন তৈরী করা এবং ভবিষ্যতে এই গাছটি থেকেই আর্থিক সাহায্য পাওয়ার পথ সুগম করা। রাজ্যের প্রতিটি ব্লক স্তরে চালু হওয়া এ প্রকল্পে, ২০১৭-র মার্চ পর্যন্ত, ২ লাখেরও বেশী চারা বিলি হয়েছে।
-
বন-অধিকার এর অধীনে বন্যপ্রাণ বিভাগ রাজ্যের ৪৬৯২ বর্গকিলোমিটার সংরক্ষিত এলাকা দেখাশোনা করে, যা রাজ্যের মোট ভৌগলিক এলাকার ৫.২৮%। ২০১৩ সালে এই সংরক্ষিত এলাকার পরিমাণ ছিল ৪.৫৬%। সংরক্ষণের গুরুত্বের কথা চিন্তাভাবনা করে দুটি নতুন বন্যপ্রাণ অভয়ারন্য তৈরী করা হয়েছে।
১. ‘ওয়েস্ট সুন্দরবন ডবলু এল এস’ সুন্দরবনের মূল প্রজাতির বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের জন্য দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৫৫৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে ২০১৩ সালে তৈরী হয়।
২. ‘পাখিবিতান বন্যপ্রাণ অভয়ারন্য’ উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ির গাজলডোবায় জলচর ও পরিযায়ী পাখিদের জন্য ১৪.০৯ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে তৈরী হয়েছে।
-
২০১৪ সালে রাজ্য বন উন্নয়ন এজেন্সি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অন্য সমস্ত কাজের সঙ্গে এটি রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এবং সাংসদ তহবিলের অর্থে বনাঞ্চলে চারা লাগানোর কাজ করছে।
-
২০১৫র মে থেকে রাজ্যের ২০টি ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্রের অনলাইন সংরক্ষণ এবং অর্থপ্রদানের পথ চালু হয়েছে। তাকদা, পোখরিয়াতার এবং চিম্নিতে ইকো ট্যুরিজম ইউনিট চালু হয়েছে।
Advertisements